ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:বিএনপির আজকের সমাবেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সমাবেশে উপস্থিতি কেমন হয় তার দিকে নজর থাকবে সরকারের নীতিনির্ধারকদেরও। সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে সতর্ক পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দলের সূত্রগুলো জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাইরে বিএনপির অবস্থানের খানিকটা চিত্র সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এবার এ সমাবেশের মাধ্যমে রাজধানীতে তাদের অবস্থান যাচাই করতে চান সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। সে জন্য কক্সবাজার সফরের পর বিএনপিকে আপাতত বড় ধরনের কোনো সভা-সমাবেশ করতে না দেয়ার পক্ষে থাকলেও শেষ মুহূর্তে সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন নীতিনির্ধারকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফর এবং তার বহরে হামলার ঘটনায় সরকার বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। বিশেষ করে খালেদার সফরকে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে নেতাকর্মীদের যে আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে তাতে আমরা খানিকটা শঙ্কিত। এ সফরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়ে গেছে। এবার রাজধানীতে তাদের এ সমাবেশে হয়তো সর্বোচ্চ শোডাউন করবে তারা। এতে রাজধানীতেও তাদের অবস্থান বা শক্তি সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা হয়ে যাবে। সে অনুযায়ী পরে দলের কৌশল নির্ধারণ করা হবে।’
দলের সম্পাদকমণ্ডলীর দুই নেতা বলেন, রাজনৈতিক কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খালেদার সফরে পাঁচ হাজার লোকও হয়নি দাবি করলেও আসলে বাস্তব অবস্থা ছিল ভিন্ন। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের যে ঢল নামে তা ছিল অনেকের ধারণারও বাইরে। সে জন্য পরে ওবায়দুল কাদের কক্সবাজার সফরে গিয়ে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলেও তাদের জনসমর্থন অনেক বেশি মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। এবার রাজধানীতে তাদের অবস্থান দেখার পালা।’
এ দিকে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, রাজধানীতে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হলেও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নেবেন। সমাবেশের নামে বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইলে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘সরকার গণতান্ত্রিক বলেই বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের সমাবেশ তারা করবে। সমাবেশে বাধা দেয়ার উদ্দেশে নেতাকর্মীরা কোথাও অবস্থান নেবে না। এ ব্যাপারে কেন্দ্র থেকেও আমাদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।নয়া দিগন্ত