মোস্তফা কামাল,শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা :সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নওয়াবেঁকী বাজারের সন্নিকটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাঁধের উপর দু-তলা পাকা বিল্ডিং করে কোটি কোটি টাকার সিমেন্ট, রড,ছাতকের চুন সহ খোলপেটুয়া নদীর চরে গাছ কেটে বালির স্তুপ করে ব্যবসা করছে জামান নামে এক ব্যবসায়ী। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শ্যামনগরের সুধী মহল।
স্বরেজমিনে দেখা যায়, শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী বাজারের বাঁশের হাট থেকে ওয়াপদার বেড়ীবাঁধ দিয়ে বড়কুপট এলাকায় যেতে খোলপেটুয়া নদীর ভাংঙ্গকৃত চরে সবুজ গাছ গাছালি কাটা হয়। সেখানে বালুর স্তুপ সহ ওয়াপদার বেঁড়ী বাঁেধর উপর দুইতলা পাকা বিল্ডিং করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে আসছে জামান নামে এক ব্যবসায়ী। বেঁড়ী বাঁধের পাশে তার জামান ট্রেডিং ব্রিক্স নামে ইটের ভাটার ব্যবসাও আছে। বিল্ডিংটির একতলার কাজ শেষ হয়ে বর্তমানে দুই তলার কাজ চলছে। ওই বিল্ডিং এর গায়ে তিনি মেসার্স আবির ট্রেডিং কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে সিমেন্ট, রড ও ছাতকের চুন বিক্রি করছে। এলাকাবাসী প্রতিবেদককে বলেন, ওয়াপদার বেঁড়ী বাঁধের অর্ধেক জায়গা জামান সাহেব বালু ফেলিয়ে রাখায় আমরা ওয়াপদা দিয়ে হাঁটতে পারিনা এবং বেঁড়ী বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে।তাছাড়া বালি বাতাসে উড়ে চোখে পড়ায় চলাচলের খুবই অসুবিধা।এ বিষয়ে আটুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মহসীন আলী জানান, খোলপেটুয়া নদীর চরে কিছু জায়গা আমাদের, অবশিষ্ট জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ইজারা নিয়েছেন বলে ব্যবসায়ী দাবী করলেও আমাদের জায়গাটুকু কোন কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে। এ বিষয়ে শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ঠ এসও মাসুদ রানা জানান, ব্যবসায়ী জামান আমাদের জায়গাটি প্রথমে ৬বছর ও পরে ৩বছর ইজারা নিয়েছে তবে বিল্ডিং করার কোন নিয়ম নেই। এ বিষয়ে মাপ জরিপ করে দেখা হবে। তবে মাপ-জরিপ না করা পর্যন্ত বিল্ডিং এর দুই তলার কাজ বন্দ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী জামান সাহেবের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইলে নং ০১৭২০-০০৩৯২৮ একাধিক কথা বলার চেষ্টা করেও রিং হলেও ফোনটি রিসিভ করা হয়নি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে নাম মাত্র ইজারা নিয়ে ইজারার নীতিমালা ভ্গং করে কোটি টাকার ব্যবসায়ী জামান দেদারছে অব্যাহত রেখেছেন। সরকারি ভাবে বানিজ্যিক হারে সরকারি রাজস্ব প্রদান করছে কি না বা অবৈধ ভাবে জায়গা দখল করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসাটি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিয়ে দেখে জনসাধারণের যাতায়াত সুবিধা ও বেঁড়ী বাধ রক্ষায় তদন্তের দাবী করেছে এলাকাবাসী।বিষয়টি তদন্ত পূর্বক জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শ্যামনগরের সুধী মহল।