ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: বিএনপির নেতাদের মধ্যে ‘সৌজন্যবোধ’ নাই বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা এত কিছুর পরও খালেদা জিয়াকে বেগম জিয়া বলি। আর ওনারা বলেন, হাসিনা হাসিনা। এটা আমাদের কষ্ট লাগে। কারণ বর্তমানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছুটে যাওয়ার কথা স্মরণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যখন ওনার (খালেদা জিয়া) ছেলে মারা গেলেন, প্রধানমন্ত্রী ছুটে গেছেন ওনাকে সান্তনা দিতে। কিন্তু উনি দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। উনি এখন সংলাপের কথা বলেন। সংলাপের দরজা তো ওই দিনই বন্ধ করে দিয়েছেন নিজের দরজা বন্ধ করে। কিন্তু পক্ষান্তরে তারা সংলাপের কথা বলে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু।
বিএনপি নেতার প্রসঙ্গ টেনে আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জানে শেখ হাসিনা বা সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারপরও তাঁরা ব্ল্যাকমেইলিং বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এখানে তাঁরা কেন ভনিতা করেন? ইচ্ছা করেই তাঁরা ভনিতা করছেন।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, স্বাধীন হয়- সেই ব্যাপারে সহায়তা করবে শুধু নির্বাচনকালীন সরকার। কোনো মেজর কাজ করবে না ওই সময়। সবকিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে কোনো কিছু থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনও থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে’।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসময় তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন, আবার বলেন সহায়ক সরকার। তাঁরা কার কাছে এই দাবি জানান? তাঁরা ইসিকে বলেন সহায়ক সরকারের কথা। ইসি এখানে কী করবে? পরে আবার বলেন, ইসি নাকি সরকারকে বোঝাবে। যেনতেন প্রকারে তাঁদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। তা না হলে তাঁরা শান্তি পাবেন না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বছর আমরা অনৈক্য চাই না। আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু দলের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলোকে সমাধান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।’
Check Also
ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নদীসহ ৪ জন কারাগারে
নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শামসুন্নাহার হল শাখার সাবেক …