ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:রাজধানীর বনানীতে নিজের অফিসে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে খুন হয়েছেন একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক মুন্সী (৫৫)।
মঙ্গলবার রাতে বনানীর চার নম্বর রোডের একটি বাড়িতে এমএস মুন্সী ওভারসিজ নামে ওই প্রতিষ্ঠানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় মুখোশধারীরা।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মী। তাদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মির্জা পারভেজ নামে এক কর্মচারীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে পুলিশ জানিয়েছে। আহত বাকি দু’জনের নাম মোস্তাক ও মোকলেস। তারাও ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এদিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকা বনানী এলাকায় এ ঘটনার খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার রাতে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা গেছে, বনানীর চার নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়িটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। ওই বাড়ির নিচতলায় এমএস মুন্সী ওভারসিজ নামে জনশক্তি রফতানিকারক ওই প্রতিষ্ঠানটির অফিস। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাশের বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী মোনেম আহমেদ যুগান্তরকে জানান, রাত ৯টার দিকে তিনি হঠাৎ ৮-১০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। কোথা থেকে গুলির শব্দ আসছে তা বোঝার জন্য তিনি বাসার সামনে দাঁড়ান। মোনেম আহমেদ বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি পাশের বাড়ি থেকে ৩-৪ জন মুখোশধারীকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে দেখেন। এ দৃশ্য দেখে ভয়ে তিনি বাসায় ঢুকে পড়েন।
এদিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর আশপাশের বাসিন্দা ও পথচারীরা ওই বাড়ির সামনে ভিড় করেন। খবর পেয়ে ততক্ষণে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে হতাহতদের উদ্ধার করে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সিদ্দিক মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় থানা পুলিশ ছাড়াও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক টিম ঘটনাস্থলে ছিল।
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন ঘটনাস্থলে জানান, নিহত সিদ্দিক মুন্সী জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এমএস মুন্সী ওভারসিজের’ মালিক বলে তারা জেনেছেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী। আহতদের মধ্যে মির্জা পারভেজের পরিচয়পত্র থেকে জানা যায় সে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
বানানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন জানান, কি কারণে এবং কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, লেনদেন এবং চাঁদা দাবির বিষয়টি তদন্তে প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।যুগান্তর