ইনডিপেনডেন্ট : বিশ্ব বিপর্যয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে ‘হুমকির মুখে মানবতা’ শীর্ষক নতুন একটি খোলা চিঠি সাক্ষর করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞান বিষয়ক মার্কিন সংস্থা ‘ইউনিয়ন অব কনসার্নড সায়েন্টিস্ট’ থেকে ১৯৯২ সালে বিশ্ব বিপর্যয় নিয়ে একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছিল। ২৫ বছর আগের ওই চিঠিতে ১৭০০ জন বিজ্ঞানী সমর্থন জানিয়ে সাক্ষর করে। সাম্প্রতিক খোলা চিঠিটি ওই বার্তারই হালনাগাদ সংস্করণ।
খোলা চিঠি হিসেবে লেখা নতুন সতর্ক বার্তায় সমর্থন দিয়ে ১৮৪টি দেশের মোট ১৫ হাজার ৩৬৪ জন বিজ্ঞানী স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছেন।
চিঠিতে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে সম্ভাব্য বিপর্যয়ের চিত্রটি ১৯৯২ এর চেয়ে অনেকগুণ খারাপ। তারা সাবধান করে দিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাপী শীঘ্রই কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মানব সভ্যতা ও জীববৈচিত্র্যের অনাহুত ক্ষতি হবে।
মূল সতর্ক বার্তায় নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, বিশ্বের আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্ভোগের জন্য মানব সৃষ্ট সমস্যাগুলোই মানব জাতির জন্য দুঃখ হয়ে দাঁড়াবে।
খোলা চিঠিতে বিগত ২৫ বছরে চিহ্নিত পরিবর্তনগুলো:-
১. বিশ্বব্যাপী মাথাপিছু বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা কমেছে ২৬%
২. সমুদ্রে দূষণ ও অক্সিজেনের অভাবে সৃষ্ট মৃত অঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৫%
৩. কৃষিজমির জন্য পথ তৈরি করায় প্রায় ৩০ কোটি একর পরিমান বনাঞ্চল হারিয়ে গেছে
৪. কার্বন নির্গমনের কারণে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে
৫. মানব জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫%
৬. সারা বিশ্বে স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, উভচর, পাখি ও মাছের সংখ্যা কমেছে ২৯%
প্রস্তাবিত চিঠিতে কিছু আশার কথা বলা হলেও মানবতা রক্ষায় ওইসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন হয়ে বলেন, অচিরেই বিপর্যয় থেকে রেহাই পাওয়ার আর কোন উপায় থাকবে না।