ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:আধুনিক যুগেও দাসপ্রথার মতো মানুষ বেচা-কেনা হচ্ছে লিবিয়ায়। মানুষই সেখানে পণ্য। সর্বোচ্চ দামের পরে আর কেউ দাম না বললে সেই দামই চূড়ান্ত করে দিচ্ছেন নিলামকারী। দাম পরিশোধ করে ‘পণ্য’ বুঝে নিচ্ছেন তার নতুন মালিক।
নিলাম পরিচালনাকারী ৮০০ বলার পর থেকে নিলামে অংশ নেওয়া ক্রেতাদের কেউ বলছেন ৯০০, কেউ বলছেন ১০০০, কেউ বলছেন ১২০০। সর্বোচ্চ ১২০০ লিবিয়ান মুদ্রায় (৮০০ ডলার) বিক্রি হয়ে যায় একজোড়া আফ্রিকান মানুষ।
সম্প্রতি এসিএনএন’র হাতে আসা ভিডিওটিতে দেখা যায়- বিক্রি হওয়া ছেঁড়া কাপড় আর জীর্ণ চেহারার দুই নাইজেরিয়ান যুবকের অবস্থায়ই শোচনীয়। তাদের মুখ থেকে কোন শব্দই বের হচ্ছে না। তাদের মতো বিক্রি হওয়া সব দাস মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। প্রতিবাদ করার মতো শক্তি নেই তাদের শরীর আর মনে। ক্রেতা-বিক্রেতার কথা মতো চলতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
মূলত নাইজেরিয়া, সেনেগাল এবং গাম্বিয়ার মতো অতি দরিদ্র দেশের ভাগ্যহারাদের অনেকে নৌকায় করে ইটালি যাওয়ার চেষ্টার সময় উত্তর দিকে লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে অপহরণের শিকার হয়। এরপর বন্দীদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তাদের পরিবার টাকা দিতে রাজি না হলে মুক্তি না পাওয়াদেরই এমন বাজারে এনে বিক্রির জন্য নিলামে উঠানো হয়।