রাজধানীর আজিমপুরে কবরস্থান রোডে সমাবেশ করা নিয়ে কোন্দলে জড়িয়েছে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে ইডেন কলেজের সামনে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে উভয় পক্ষ।
ঘটনাস্থলে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সমাবেশের অনুমতি না থাকায় মেয়র গ্রুপের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
জানা যায়, আজিমপুরে কবরস্থান রোডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদের নেতৃত্বে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একটি সভা হওয়ার কথা ছিল। একই স্থানে সভা ও মিছিলের চেষ্টা করে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের অনুসারীরা।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খান বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘একই স্থানে দুটি গ্রুপ সমাবেশ করতে চেয়েছিল। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আমরা রাস্তায় থাকা গ্রুপটিকে সরিয়ে দেই। কারণ তাদের সমাবেশের কোনও অনুমতি ছিল না। এখন অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহ আলম মুরাদের অনুসারীদের সমাবেশের কথা জানতে পেরে মেয়র গ্রুপের অনুসারীরা সকালে ভিকারুন্নেসা নূন স্কুলের আজিমপুর শাখার পাশের ভবনের সামনে সিটি করপোরেশনের ময়লা এনে ফেলে রাখে। এ অভিযোগ এনে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সুধী সমাবেশ ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম করার কথা ছিল। কিন্তু সকালে সমাবেশের জায়গায় সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলা হয়েছে।’
কে বা কারা ময়লা ফেলেছে জানতে চাইলে মেয়র সাঈদ খোকনকে ইঙ্গিত করে শাহ আলম মুরাদ বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ময়লা কার নির্দেশে ফেলা হয় আপনারাই না হয় খোঁজ নিয়ে দেখেন। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না।’