সংসদে ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুণ্ণ নিয়ে নোটিশ দিয়েও জবাব মেলেনি সরকার দলীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের।
এ নিয়ে তিনি অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি সংসদ সদস্য (এমপি) হয়েও অসহায়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সভাপতির চেয়ারে বসা ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে এই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ডেপুটি স্পিকার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলার পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, এভাবে না বলে নোটিশ দিলেই বেশি কার্যকর হতো।
ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, যে কোনো বিষয়ে আপনি নোটিশ দেয়ার জন্য বলেন। এখানে আমি একজন অসহায় সংসদ সদস্য। এই সংসদে আমার ব্যক্তি অধিকার ক্ষুণ্ন নিয়ে নোটিশ দিয়েছিলাম। নোটিশ দেয়ার পর ৪টা অধিবেশন চলে গেল শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। এখন পর্যন্ত জবাব পেলাম না।
তিনি বলেন, এই সংসদের দশম অধিবেশনে একটা অসত্য তথ্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মুখ দিয়ে বলানোর কারণে আমি তখন বলেছিলাম সম্পূর্ণ তথ্যটাই মিথ্যা। সংসদে অসত্য তথ্য দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তদন্ত করে।
শামীম ওসমান বলেন, আমি একজন সংসদ সদস্য হয়ে ১৪তম অধিবেশনে নোটিশ দিয়ে তার রেজাল্ট না পাই, তাহলে আমার কী করণীয়। আপনার কাছে জানতে চাই। এমপি হিসেবে আমি মনে করি আমি এখানে অসহায়। তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?
এরপর ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনার বিষয়টি আমি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। পাশাপাশি এই সংসদের মাধ্যমে সংসদ সচিবালয়কে বলব, মাননীয় সংসদ সদস্যের নোটিশের জবাব দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।