শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের প্রতারক আব্দুর রহমান আকাশের মুখোশ উম্মোচন হতে শুরু করেছে। সরকারি প্রকল্প নিজের নামে প্রচার করে বিভিন্ন মানুষের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে
নিয়েছে এই প্রতারক। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিসের আওতায় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম সেন্টার সংলগ্ন রেস্টুরেন্টটি বরাদ্দ নিয়ে পুরো আকাশলীনা তার বলে প্রচার দিয়েছে।
ট্যুরিজম সেন্টারটি নাম আকাশলীনা হওয়া সেই সুযোগটি নিয়েছে প্রতারক আব্দুর রহমান আকাশ। সে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়িয়েছে আকাশ তার নাম এবং লীনা আমার স্ত্রীর নাম সেই কারনে তার নাম রাখা হয়েছে আকাশলীনা। কিন্তু‘ বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে সম্প্রতি রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের আকাশলীনা কবিতার নামানুসারে এই ট্যুরিজম সেন্টারটির নাম করণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।এছাড়া তার রেস্টুরেন্টে কর্মরত একাধিক কর্মচারীকে বেতন না দিয়েতাড়িয়ে দিয়েছে বহু অপকর্মের হোতা এই আকাশ।আকাশলীনার রেস্টুরেন্টের সাবেক কর্মচারী মুজিবর রহমান, বেতন চাইলে উল্টো টাকা চুরিসহ বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানী ও নির্যাতন করে থাকেন। আমার বেতনের ৩ হাজার টাকা পাবো আকাশের কাছে। সে টাকা না দিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহনা করছে। শুধু আমার সাথে না
আকাশলীনায় যত কর্মচারী কাজ করেছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মচারির বেতন পায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সুন্দরবন সংলগ্ন
এলাকায় জোয়ার সুন্দরবন মোটেল নামে বহুতল পাচ তারকা হোটেলের নকশা দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনি”ছুক অভিযোগকারীরা আরো বলেন, সে বিলাশ বহুল হোটেলের জমি কেনা হয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে শেয়ারের টাকা নিয়েছেন। কিন্তু‘ কোথায় জমি কেনা হয়েছে সেটি কেউ বলতে পারে না।
এদিকে গত আগস্ট শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরকৃত পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, আকাশলীনা ট্যুরিজম সেন্টার সংলগ্ন আব্দুর রহমান আকাশের বরাদ্দ নেওয়া ‘বাদাবনের হেঁসেল’ রেস্টুরেন্ট প্রায় বন্ধ থাকার কারণে এবং মানসম্মত খাবার না পাওয়ায় আকাশলীনায় আসা পর্যটকদেরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে । এর আগে একাধিক বার চিঠি দিলেও তিনি কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে জানা গেছে। বকেয়া ভাড়া সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য শেষ বারের মতো চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হলেও আব্দুর রহমান আকাশ প্রশাসনকে না
জানিয়ে নওয়াবেকী এলাকার আসাদ নামে একজনের কাছে হোটেল বরাদ্দ
দিয়েছেন।এদিকে মুন্সিগঞ্জ এলাকায় চুনা নদীর ধারে চর বনায়ন কর্মসূচির নামে জমি দখল করে রেখেছেন এই আব্দুর রহমান আকাশ।এছাড়া তার জোয়ার কটেজে অবৈধ কার্যকালাপ চলে বলে একাধিক ব্যক্তিঅভিযোগ করেছেন।
মুন্সিগঞ্জ এলাকার দাউদ হাজী নামে একজনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জানা গেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কিকারীসহ সুন্দরবনের দস্যুদের সাথে সখ্যতা থাকার অভিযোগ
রয়েছে।এছাড়া আকাশের জোয়ার ইকো কটেজে অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে। গত কয়েক বছর আগে এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে । আশালীনার রাঁধুনী আনোয়ার বেগম বলেন, আকাশলীনা নিজের বলে পরিচয় দিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া জোয়ারের বড় মোটেল করবে একথা বলে অনেক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি আকাশলীনা রেস্টুরেন্টের রাধুঁনী আমার বেতন, খাওয়া দেবে শর্তে চাকরী দিয়ে গত কয়েকমাস বেতন দেয়নি। আকাশের কাছে ৩ মাসের বেতন ১০ হাজার টাকা পাবো। এছাড়া আকাশলীনার রাধূনী সাইদ,
মুজিবর রহমান, আব্দুল হাইয়ের বেতন না পেয়ে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …