আনাদোলু নিউজ অ্যাজেন্সি : রাখাইনের সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদে জাহাজ ও নৌকাডুবিতে শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রাণহানি ঘটেছে। জাতিসংঘ বলছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশমুখী রোহিঙ্গা ঢলে নদে নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্দলার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, তারা মিয়ানমারের রাখাইনের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পালানোর জন্য এক মাসের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১০ দিনে ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি কাঠের ভেলায় ভেসে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
‘নদ পাড়ির অর্থ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শরণার্থী হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তাই দিয়ে ভেলা বানাচ্ছেন..তবে এসবের অধিকাংশই বাঁশ ও খালি প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে তৈরি।
রশি দিয়ে বাঁধার পর প্লাস্টিক বসিয়ে নদীতে ভাসিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছেন তারা।’ কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপের কাছে প্লাস্টিকের আবর্জনা এবং বাঁশের তৈরি এই ভেলা পাওয়া যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভেলায় নাফ নদ পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। দুই দেশ বিভক্তকারী এই নদের মোহনার প্রশস্ত প্রায় তিন কিলোমিটার।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে উগ্র বৌদ্ধরাও নেতৃত্ব দিচ্ছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ, নির্বিচারে গুলি ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।