নাটোর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত আটটার দিকে দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামের শাহাদৎ সর্দারের বাড়িতে হৈ চৈ শুনে গ্রামবাসী সেখানে যায়। এ সময় ওই বাড়িতে আলম সর্দারের ছেলে পিএসসি সমাপনী পরীক্ষার্থী আলিফ সর্দার (১১) ও তার দাদী বিলকিস বেগমকে (৪৮) গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার সময় আলমের বাবা সাহাদৎ সর্দার বাড়ির বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ঢোকা মাত্র তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে নিজের ছেলে আলম সর্দার। রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গ্রামবাসী আলম সর্দারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
নাটোর আধুুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কাজী মোহাম্মদ আলী রাসেল জানিয়েছেন, শাহাদৎ সর্দারের আঘাত খুবই গুরুতর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নাটোর সদর থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের মর্গে রাখা নিহতদের লাশের ময়না তদন্ত আজ সম্পন্ন হবে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, অভিযুক্ত আলম সর্দার নেশাগ্রস্থ বলে এবং পরিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এ নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাসস
মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা : গ্রেফতার
সদর উপজেলার দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামে রোববার রাতে নিজের মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। এ সময় সে তাঁর বাবাকেও কুপিয়ে জখম করে। অভিযুক্ত আলম সর্দারকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।