ক্রাইমবার্তা আন্তজার্তিক রিপোর্ট:মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, গত তিন মাসে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের ‘নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন’ নিশ্চিত করতে চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করার আশা করছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জোট-আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিন সু চি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
গত আগস্টের শেষের দিকে রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহবিরোধী অভিযান শুরুর জেরে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি থেকে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
অভিযানের সময় রাখাইনে মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস হত্যা ও গণধর্ষণসহ নিপীড়ন চালায় বলে অভিযোগ করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, সেখানে এমন কিছু হয়েছে কি হয়নি তা আমরা বলতে পারব না। সরকারের দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে যেন এমনটি না ঘটে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বুধ ও বৃহস্পতিবার আলোচনা হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে গত মাস থেকেই দুই দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন।
সুচি বলেন, আমরা আশা করছি শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এর মাধ্যমে যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে, তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু হবে।
তবে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ করেননি শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। মিয়ানমার সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীটির জাতীয়তার এ নামকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তাদের দেশটির জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।