ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোর্ট:কমলা, গাঁজর, পেয়ারা
শীতে বাড়তি ভিটামিন দরকার। বিশেষ করে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’-এর দিকে নজর দিতে হবে বেশি।
এগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া এই সময় ত্বক খসখসে থাকে। তাই খাবারের তালিকায় ভিটামিন ‘সি’ রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন কমলা, গাঁজর বা পেয়ারা জাতীয় ফলে।
তিল-তিসি
অফিসে বা বাইরে অনেকেই ব্যাগে করে স্ন্যাক্স বয়ে বেড়ান। শীতে যেহেতু একটু আলাদা খাবার খেতে হবে, তাই তিল-তিসিমিশ্রিত খাবারের দিকে নজর দিন। যেমন, অতি উপাদেয় এবং জনপ্রিয় একটি খাবার হলো তিলেচটা। অন্য নামেও ডাকে অনেকে। তিল বা তিসি দেহে তাপ উৎপন্ন করে।
পাশাপাশি এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। দেহে লৌহের অভাবও পূরণ করে।
দুধে হলুদের গুঁড়া
প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাবেন। তবে শীত উপলক্ষে বাড়তি যোগ করুন হলুদের গুঁড়া। এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ বা সামান্য পরিমাণ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে দেহে উত্তাপ ছড়াবে।
সবজির গরম স্যুপ
এমন মৌসুমে সবজির একবাটি গরম স্যুপের চেয়ে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর কিছুু হতে পারে না। সকাল, বিকেল বা রাত যেকোনো সময় এটি খেতে পারেন। দুই বা ততোধিক সবজি দিন। আর বিভিন্ন ধরনের রেসিপি নিশ্চয়ই জানেন। স্যুপ আপনাকে গরম করে রাখবে।
আদা চা
যখনই চা খাবেন, অবশ্যই আদা চায়ে চুমুক দেবেন। এমনিতেই আদা সর্দি-কাশির জন্য উপকারী। সঙ্গে উত্তাপ মিলবে। আদা দেহে তাপ জোগায়।
ডাল বা শস্যদানা
মূলত উচ্চমাত্রার প্রোটিনে সমৃদ্ধ এসব উদ্ভিজ খাবার দেহকে পর্যাপ্ত জ্বালানি দেয়। কাজেই এসব খাবার শীত তাড়াতে খুবই কাজের। মসুর, মুগ বা মাষকলাই, যাই খান না কেন, শীতে একটু বেশি করেই খাবেন। দেহে শক্তি থাকবে, তাপও হারাবে না।
শুকনো ফল
ধারণা করা হয়, পেঁপে এবং আনারসও দেহকে তাপ সরবরাহ করে। এ ছাড়া শুকনো ফল কিন্তু শীতের মৌসুমে খুবই কাজের। খেজুর খেতে পারেন তাপের জন্যে। এ ছাড়া অন্যান্য শুকনো ফলও সমানভাবে উপকারী।
ঝাঁজালো মসলা
রান্নাঘরে তো দারুচিনি, এলাচ বা লবঙ্গ থাকেই। চা কিংবা তরকারিতে এগুলো ব্যবহার করুন। এসব মসলা স্বাস্থ্যগুণে অনন্য। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা যোগ করবে দেহে। বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু হয়। তাপ সংগ্রহে এদের ওপর নির্দ্বিধায় নির্ভর করতে পারেন।