ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:বোমাবাজি, ভাংচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে পণ্ড হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় আয়োজিত কর্মসূচি।
শনিবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের ফিরোজ গ্রুপ ও লাল্টু গ্রুপের মধ্যে সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
এসব সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই স্কুলশিশু।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় সাতক্ষীরা-যশোর সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথম দফা সংঘর্ষের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তারের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের বৈঠক শেষে পুনরায় ফিরোজ গ্রুপ ও লাল্টু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, তার সমর্থকরা অনুষ্ঠানে গেলে তাদের দেখে ফিরোজ স্বপন কটূক্তি করেন। সে কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
দলীয় সভাপতি কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার কারণে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে আনন্দ মিছিল ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠান চলাকালে কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে দলীয় সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম লাল্টু কিছু লোক নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেন। ককটেলের শব্দে মুহূর্তেই শিশুরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। আতংকিত হয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, দলের সভাপতির অভিযোগ সঠিক নয়। সকালের কর্মসূচিতে আমাকে বক্তৃতা দিতে না দেয়ায় ফুঁসে ওঠেb নেতাকর্মীরা। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। ফিরোজ আহমেদের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লবকুমার নাথ বলেন, কিছু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাংচুরের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা শেষ হলেও কিছু ‘বাড়তি কথার’ জন্য কিছুটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন পুলিশ মৃদু আহত হন। লাঠিচার্জের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।