ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরতের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তার সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আপনারা (সরকার) রোহিঙ্গা বিষয়ে অত্যন্ত দ্রুত মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করে ফেললেন ভালো কথা। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফিং করেছেন ২০১৬ সালে যারা আসলো শুধুমাত্র তাদের ফেরত নেবে। বাকিগুলোর ব্যাপারে তারা কোনো কথা বলবে না। তাও আবার কখন থেকে ফেরত নেবে, কবে শেষ হবে তাও কিছু বলা হয়নি।
শনিবার গুলশানে হোটেল লেক সো’র বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইউনিভার্সিটি টিচার্স (এগ্রিকালচারাল সায়েন্স) এর উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, জাতিসংঘকে সম্পূর্ণ বাইরে রেখে অন্যান্য দেশগুলো যারা ইন্টারেস্টেড তাদের বাইরে এই কাজগুলো অতি দ্রুততার সঙ্গে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) মিয়ানমার,চীন,ভারতে বা রাশিয়ায় একবারও গেলেন না। ওইসব দেশগুলোকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করার জন্য আমরা বারবার বলেছি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সফর করে দেশটির সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি সম্মতিপত্র সই করে এসে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন,’স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার গত ৯ অক্টোবর ২০১৬ এবং ২৫ আগস্ট ২০১৭ এর পরে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী বাস্তুচ্যুত রাখাইন রাজ্যের অধিবাসীদের ফেরত নিবে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৯ অক্টোবর সেনা অভিযানের মুখে ৮৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর এবছর ২৫ আগস্টের পর নতুন করে বাংলাদেশে আসে সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে জাতিগত দমন-পীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম।
প্রধানমন্ত্রীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বড় গলায় বড় বড় অনুষ্ঠান করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে সরকারি চিঠি পাঠিয়ে হাজির হতে বলা হয়।না হলে সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে, চাকরি চলে যাবে বলে ভয় দেখায়।