ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই অনিয়ম আর দূর্ণীতির মধ্য দিয়ে চলছে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক।কোন সার্জন তো নেই, নেই আবাসিক মেডিকেল অফিসার, নেই ডপ্লোমাধারী নার্স, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ওয়ার্ডবয়। এমনই আজব প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে তালার একটি আলোচিত ক্লিনিক। অনাড়ী হাতুড়ী ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় প্রসূতি মা সহ একের পর এক রোগীর মৃত্যুতেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছেনা। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, উপজেলা পর্যায় একটি ক্লিনিকে ৯ টি বেড, ১ জন সার্জন, ১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ১ জন ডিপ্লোমা সহ ৫ জন নার্স, প্রশিক্ষিত ওয়ার্ডবয় থাকার কথা থাকলেও কাজীর গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই ! এমনি কায়দায় চলছে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নোংরা অপরিকল্পিত ভাবে চলছে ক্লিনিকটি। সেবার নামে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অপারেশন থিয়েটার, ওয়ার্ড, বেড সব কিছু অগোছলো। একটি রুমে ৩/৪টি করে বেড । বেড ছাড়াও বারান্দায় থাকে একাধিক অপারেশনের রোগী। শনিবার ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো ২৫ জন। ভর্তি রোগীদের সাথে কথা বলে আরও জানাগেছে সার্জন ছাড়াও অপারেশন করেন ক্লিনিক মালিক বিধান চন্দ্র রায় । আলট্রাসনো করেন ক্লিনিক মালিক,স্থায়ী থাকেনা কোন বিশেজ্ঞ ডাক্তার। নারী পুরুষ রোগী, রোগীর স্বজন একই ওয়ার্ডে রাত্রি যাপন। অবৈধ্য গর্বপাত ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ক্লিনিক মালিক সিজার, এ্যাপেন্ডিসাইড সহ বিভিন্ন অপারেশন নিজেই করে থাকেন। অথচ ক্লিনিকে বিভিন্ন সার্জেন্টের নাম ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এমন অপারেশন করার ফলে কয়েকবার প্রসুতি রোগীর মৃত্যু হয়েছে একাধিক বার এই ক্লিনিকে বলে জানান তিনি। । একজন রোগী এলে তাকে অপারেশন টেবিলে উঠিয়ে তারপর শুরু করে বিভিন্ন নাটক।এব্যাপারে ক্লিনিক মালিক বিধান চন্দ্র রায় জানান, তালা তার ক্লিনিকে ১৫/২০ টি বেড আছে, ৪/৫ জন ডাক্তার আছে কিন্তু‘ স্থায়ী ভাবে কেউ থাকেনা। আবাসিক মেডিকেল অফিসার কেউ নাই। সার্জেন্ট মোঃ শরিফুল ইসলাম সপ্তাহে একদিন আসেন ও ডাঃ জ্যোতিময় সরকার বরিশাল থেকে সম্পাহে ২দিন আসেন। ডাঃ রাজিব সরদার নিয়মিত ক্লিনিকে রোগী দেখাশুনা করে থাকেন। ডিপ্লোমাধারী কোন নার্স নাই। সরকাির নিয়ম অনুযায়ী ডা. নার্স ইত্যািদ অনিয়মের কথা বললে কতৃপক্ষ বলেন এতনিয়ম কোন হাসপাতাল মানেনা। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার কুদরত-ই খূদা সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যাইনি। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ তহিদুর রহমান জানান, অনিয়ম বা কোন দূর্ণীতি তথ্য পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Check Also
সাতক্ষীরায় ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে এসময় …