মোঃ রিয়াজুল ইসলাম:নাটোর সংবাদদাতা
সড়ক দূর্ঘটনার কারণে অপ্রশস্থ নাটোর-বগুড়া মহাসড়কটি এখন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই সড়কে প্রাণ গেছে তিন জেএসসি পরীক্ষার্থী ও স্বামী-স্ত্রী সহ মোট নয়জনের। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আঞ্চলিক য়োগাযোগ বাড়াতে চলনবিলের মধ্য দিয়ে মহকুমা শহর নাটোর থেকে জেলা শহর বগুড়া পর্যন্ত মোট ৬৩ কিলোমিটারের একটি আঞ্চলিক মহা সড়ক তৈরী করা হয়। এর মধ্যে ৩২ কিলোমিটার নাটোর এবং ৩১ কিলোমিটার বগুড়ার অংশের। ওই সড়কে যানবহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় দেশ স্বাধীন হওযার পরে অপ্রশস্ত ১৮ ফুট চওড়া আঞ্চলিক সড়কটিকেই পরে মহাসড়কে রুপান্তর করা হয়। উত্তরাঞ্চলের সাথে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমই হল এই নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক। প্রতিদিন এই মহাসড়কে শত শত যাত্রীবাহী বাস, পাথর, ধান-চাল, মাছ ও কাঁচা শাক-সব্জি বোঝাই ট্রাক সহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি এখন অনকের কাছেই আতংকের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের প্রশস্থতা কম থাকায় ওভারটেকিং করার সময় গিয়ে ঘটে বিপত্তি। মহাসড়কটির পাশে মানুষ চলাচলের জন্য যেমন কোন পৃথক রাস্তা নেই ঠিক একই ভাবে মহাসড়কের পাশে দিয়ে কম গতির ছোট গাড়ি এবং তিন চাকার সিএনজি চালিত অটোরক্সিা ও মোটর সাইকেল চলাচলের পৃথক কোন বাই লেন। এসব কারণে এই মহাসড়ক দিয়ে বৈধ-অবৈধ সব যান-বাহন চলাচলের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনায় অকালেই ঝড়ে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। দূর্ঘটনা রোধে দ্রুতই মহাসড়কটি প্রশস্থ করার দাবি জানিয়েছেন এই পথে চলাচলাকারীরা যানবাহন মালিক চালক ও সাধারন মানুষ। হাইওয়ে পুলিশের মতে, মহাসড়কটি সরু হওয়ায় চলতি বছরে ছোট বড় দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কম পক্ষে ২৫জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪০জন। স্থানীয়দের মতে এই সংখ্যা দ্বিগুণ। দূর্ঘটনা রোধে সীমিত আকারে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে তবে তাদের মতে সড়কটি সরু হওয়ায় কোন ভাবেই দূর্ঘটনা কমানো সম্ভব হয়ে উঠছেনা। নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক জানান. জাতীয় মহাসড়কের শ্রেণী অনুযায়ী সড়কের প্রশস্থতা সর্বনিম্ন ২৪ ফুট হওয়ার নিয়ম থাকলেও নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের প্রশস্থতা রয়েছে মাত্র ১৮ ফুট। তিনি আরো জাানন, ওই মহাসড়কটির গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় ৩০ ফুট প্রশস্থ করতে সম্প্রতি প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ কোটি টাকার একটি প্রাক্কলন ব্যায় উল্লেখ করে ইতোমধেই যথাযথভাবে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব শিঘ্রই প্রাক্কলিত ওই বরাদ্দ পাওয়া যাবে।