তালায় কৃষি ব্যাংকের গ্রাহকরা চরম ভুগান্তিতে

আকবর হোসেন,তালাঃ তালায় চরম ভুগান্তিতে পড়েছে কৃষি ব্যাংকের বিদ্যুৎ বিল প্রদানকারী গ্রাহকরা । ব্যাংকের ভিতর ব্যাপক ভীড় হওয়ায় বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা নিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংক কতৃপক্ষ । দেখে মনে হয় রোহিঙ্গাদের ত্রান নেওয়ার লাইন ।
২৬ নভেম্বর সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তালা কৃষি ব্যাংকের সিড়িতে অনেক লোকের সমাগম । মনে হয় ব্যাংকের মধ্যে কোন ঝামেলা হয়েছে । তবে ব্যাংকের মধ্যে এসে দেখা গেল সেখানে দাড়িয়ে আছে কয়েকশত মানুষ । সবারই হাতে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ । দুপুর ১২.৩০ মিনিট বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার সিরিয়াল নং ২শত ৮৩ । ব্যাংকের সুপারভাইজার সুকুমার ঢালীকে জিঞ্জাসা করলে তিনি বলেন,এখনও প্রায় ২শত এর বেশী গ্রাহকদের সিরিয়াল নং দেওয়া হয়নি । তাদের বিল নেয়া হবে । প্রায় বিকাল ৩টা হতে ৩.৩০টা পর্যন্ত লেগে যাবে । বিদ্যুৎ বিল এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে সিরিয়াল দিতে হয় এর পরে কাউন্টারে টাকা জমা দেওয়া, সেখানেও একই লাইন । টাকা জমা নেওয়ার জন্য ১জন ক্যাশিয়ার আছেন রনজিৎ কুমার । তার একার পক্ষে এত মানুষের টাকা জমা নেওয়া খুব কঠিন কাজ । এই জন্য কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ সিরাজুল ইসলাম মানুষের ভুগান্তির কথা ভেবে ফিল্ড অফিসার সায়েদুর রহমানকে টাকা জমা নেওয়ার জন্য এবং সুপারভাইজার সুকুমার ঢালীকে সিরিয়াল দেওয়ার জন্য নিয়োজিত করেন । ব্যাংক ম্যানেজার বলেন,মোট জনবল ৯জন এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল জমা নিতে চলে যায় ৩জন । তাহাছাড়া ব্যাংকের ভিতর পর্যাপ্ত জায়গা নাই । ১থেকে ২শত লোক সবসময় দায়িয়ে থাকার ফলে খুবইয় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে । ব্যাংকের ভিতর পর্যাপ্ত ভীড় থাকার ফলে ব্যাংকের দাপ্তরিক কাজসহ অন্য গ্রাহকদের সেবা দিতে অসুবিধা হচ্ছে ব্যাংক কতৃপক্ষের।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে আসা তালা খলিলনগর ইউনিয়নের সরফুল খার স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন,আমি সকাল ১০.০০ ঘটিকায় এসেছি বিল জমা দেওয়ার জন্য । এখনও সিরিয়াল দিতে পারেনী । এমনই কথা বলছিলেন তিতুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলপনা বেগম বলেন, তিনি বলেন, আমি ১১.০০ ঘটিকার সময় এসেছি বিল জমা দেওয়ার জন্য এখনও সিরিয়াল লেখাতে পারিনি । আমার বাড়ীতে ছোট সন্তান রেখে এসেছি, বাড়ী গিয়ে তাদের রান্না করে খাওয়াতে হবে । এমনই বক্তব্য, সিরিয়ালে দাড়িয়ে থাকা শতশত মানুষের ।

এ বিষয়ে গ্রাহক ও সুশিল সমাজের মানুষ মনে করেন, বিদ্যুৎ বিল জমা নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন অথবা তালার শুধুমাত্র কৃষি ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকে বিল জমা না দিয়ে সকল ব্যাংকের শাখায় জমা নিলে ভাল হয় । তাহলে হয়ত গ্রাহকদের ব্যাংকের এসে এমন ভুগান্তি পোহাতে হতো না ।

এ বিষয়ে কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন,বিদ্যুৎ বিল জমা নেওয়ার জন্য ১জন ক্যাশিয়ার নিয়োজিত আছে তার একার পক্ষে এত কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে । কর্তৃপক্ষ যদি আরও একজন ক্যাশিয়ার নিয়োগ করেন,তবে কাজ করতে সুবিধা হয় ।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।