ফিরোজ হোসেন : সাতক্ষীরা আলীপুর ইউনিয়নের গাংনিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে পাকা বাড়ি নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। একটি সিন্ডিকেট চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করছে মোটা অংকের টাকা।
সরকার দলীয় লোকদের দোহায় দিয়ে রমরমা বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চক্রটি। এর নেপথ্যে মাহমুদপুর গ্রামের বাপ বেটা আবুল করিম ও তার ছেলে হাসান বলে এলাকা বাসির অভিযোগ। এলাকাবাসী জানান করিমের ছেলে হাসান বিভিন্ন এলাকার লোকদের টাকার বিনিময় পাউবোর জায়গায় দখল করে লোকজন উঠাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গাংনিয়া লাবন্যবতী খালের দু-ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বড় বড় পিলার তুলে পাকা বিল্ডিং তৈরী করছে। এমন বাড়ির সংখ্যা প্রাই ৪০ টির মত। আর খালের দু ধারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার সাথে ব্যক্তি মালিকানা জমির মালিকদের নিকট থেকে কোন অনুমতিও নেইনি এসব দখলবাজরা ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় কিভাবে অনুমতি ছাড়া দখল করে বাড়ি নির্মান করছে জানতে চাইলে হাড়ৎদাহ এলাকা থেকে আগত ঘরনির্মানকারী ব্যক্তি মহব্বত আলী, আজগার আলী, আফজাল, আফছার আলী বলেন, আব্দুল করিম ও আলীপুর এলাকার শহিদুল ঢালী এ জায়গা দিয়েছে। এদিকে বাইরের লোকদের টাকার বিনিময় সরকারি সম্পত্তি দিয়ে বাড়ি নির্মান করায় এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘুরে ঘুরে গাংনিয়া এলাকার বসবাসরত আঙ্গুর বালা জানান আ: করিম আমাদের একটু জমি দেয়নি শুনেছি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঐ সব লোকদের এ জায়গায় বসাচ্ছে। এমাদুল ইসলাম জানান আমরা ৬ টা ভাই অনেক কষ্টে বসবাস করছি কিন্তু বাইরের লোকদের টাকার বিনিময় বসাচ্ছে আমাদের একটু জায়গা দিলো না। একই এলাকা রজব আলী বলেন মেয়ে বিয়ে দিয়েছি জামাই আমার বাসায় থাকে আমিও মাতব্বরদের নিকট গেলেও একটু জায়গা দেইনি। অথচ অন্যদের টাকার বিনিময় ঠিকই দিচ্ছে। এলাকা বাসি আরো জানান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম , আলীপুরের শহিদুল ঢালী ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অন্যের দখলে দিয়ে লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এবিষয় আব্দুল করিমের সাথে কথা হলে জানান আমি কোন টাকা নেইনি মহব্বত নামে একজন আমার নিকট এসে আকুতি জানিয়ে বলেন আমার ভিটে বাড়ি নেই। তখন আমি বলি যদি জায়গা থাকে তবে তুমি ঘর বাধ। টাকা নেওয়ার কথার বিষয় বলেন ঘর তৈরিতে যে টাকা খরচ হয়েছে হইতো আওয়ামীলীগের লোকজন সে টাকা নিয়ে ঘর বেধে দিয়েছে। আর এর বেশি কিছু আমি জানিনা। এবিষয় মাহমুদপুরের শহিদদুল বলেন আমি আনারুল নামে একজনকে বসিয়েছে করিমের মাধ্যমে। আর সকল লোকদেও বসিয়েছে করিম এবং তার ছেলে হাসান। সরকারী জমি দখল মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকা বাসি।