বঙ্গবন্ধু, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ একই বৃন্তের তিনটি ফুল: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি
ফিরোজ হোেসেন : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। ছাত্রলীগকে বাদ দিয়ে কেউ বাংলাদেশের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারবে না। এই ছাত্রলীগকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ একই বৃন্তের তিনটি ফুল।
তিনি মঙ্গলবার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ছাত্র লীগের জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার, সংসদ সদস্য রিফাত আমিন, জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবীব অয়ন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা নির্বাচনকে ঠেকাবার জন্য ২০১৩ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বুকের রক্তে সাতক্ষীরার মাটি রক্তাক্ত হয়ে গেছে। তাদের রক্তে কপোতাক্ষ নদের পানি লাল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ সংগঠিত হলে সাতক্ষীরার উন্নয়ন এগিয়ে যাবে। সম্মেলনের মাধ্যমে অন্যকোন দল থেকে কেউ নেতৃত্বে না আসতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন অপশক্তি ছাত্রলীগকে কলুষিত করতে পারবে না। করলেও তা মেনে নেয়া হবে না। তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে একটি সুন্দর জেলা কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন।
প্রধান অতিথি আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনাকে আর একবার ভোট দিতে হবে। ভোট দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী বানাবার জন্য। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য। তাকে ভোট দিতে হবে নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেবার জন্য। ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত বিশ্বে স্থান করে নেবার জন্য। তিনি বলেন, যখন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ৫ জনের মধ্যে শেখ হাসিনার নাম দেখি, তখন বুকটা গর্বে ভরে যায়। তিনি বিপন্ন মানুষের কোলে টেনে নেয় তাই সে মানবতার মাতা। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা ঢাকা বিমান বন্দরে নেমেছিলেন। সেদিন ছিল বর্ষণ মুখর দিন। তিনি বলেছিলেন আমি দেশে এসেছি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। তিনি চেয়েছিলেন বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। আজ কুয়াশার বাধ ভেঙে গেছে। তিনি আরও বলেন, নেত্রী সাতক্ষীরার ৪টি আসনে যাদের মনোনয়ন দেবে তাকেই ভোট দিতে হবে।
ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পদ্মা সেতু তৈরী করার মতো দুঃসাহসিক উদ্যোগ গ্রহণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছেন।