জি,এ, গফুর, পাইকগাছা (খুলনা) ॥ পাইকগাছায় কোটি টাকার সম্পদ-সম্পত্তি কপোতাক্ষ নদে ভেসে গেলেও বাঁধ নির্মাণের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। প্রায় একমাস চলে গেলেও বাঁধ সংস্কার না করায় অবাধে জোয়ার ভাঠা পানি উঠানামা করায় মাটি খুয়ে গভীর হচ্ছে কৃষি জমি। এ দিকে ওয়াপদার ব্যাপক এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দেয়ায় আরো ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় আতংকিত হচ্ছে এলাকাবাসী। দ্রুত বাঁধ সংস্কারে উর্দ্ধতন পক্ষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতনমহল।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বোয়ালিয়া চরের বিলের ওয়াপদার ভেড়ি বাঁধে গত ৪ নভেম্বর ভাঙ্গন দেখা দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে পদক্ষেপ না নেয়ায় গত রবিবারের জোয়ারে ১৬নং পোল্ডারের ওয়াপদার বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভেঙ্গে বিলিন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ২ হাজার বিঘার ৮০টি চিংড়ি ঘের। তলিয়ে যায় শ’শ’ একর আমনের ক্ষেত। চিংড়ি ঘের মালিকদের তৈরী করা গেট অপসারণ করার পর উপযুক্তভাবে নির্দিষ্ট জায়গাটি মেরামত না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানায়, অল্প কিছু টাকা ঐ সময় খরচ করে অপসারিত গেটের জায়গাটি মেরামত করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। গত ২৫ দিনেও বাঁধার কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ওয়াপদার বাঁধে ব্যাপক এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাঙ্গন এলাকা। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী আবারো ভাঙ্গনের আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। সম্প্রতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক সহ কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন জানান, টাকা সংগ্রহ করে দ্রুত যাতে বাঁধ মেরামত হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় চিংড়ি চাষী আবুল হোসেন মোড়ল জানান, বাঁধের ভাঙ্গন হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হলেও এখনও পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের জন্য কোন তোড়যোড় দেখা যাচ্ছে না। এ ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে বোয়ালিয়া থেকে আগড়ঘাটা পর্যন্ত ২হাজার একরের ৮০টি চিংড়ি ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। শতশত বিঘা আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত বাঁধ নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।