ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:মিয়ানমার নেত্রী অং সাং সু চির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি পোপ ফ্রান্সিস। বরং তিনি রাখাইনের মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান দমন-পীড়নকে দেশটির নাগরিকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বলে আখ্যায়িত করেছেন।মিয়ানমার সফরকালে মঙ্গলবার সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন পোপ ফ্রান্সিস।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের জনগণ বেসামরিক সংঘর্ষ ও জঙ্গিবাদে ভুগছে, যা দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী এবং গভীর বিভাজন সৃষ্টি করেছে।
———————-0———————————-
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং পোপ ফ্রান্সিসের সাথে বৈঠকে দাবি করেছেন রাখাইন রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য হয়নি। সেই সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো কোনো পোপের সফরে সোমবার পোপ ফ্রান্সিস দেশটিতে পৌঁছেছেন।
সফরের শুরুর দিনেই দেশটির সেনা প্রধানের সাথে দেখা করেন পোপ।
রাতে সেনা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিনের দেয়া ফেসবুক পোস্টে দেখা যায়, রাখাইন রাজ্যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য হয়নি বলে পোপকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
সেনা প্রধানের অফিস থেকে বলা হয়েছে, জেনারেল মিন পোপকে জানিয়েছেন যে, দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করে যাচ্ছে।
তবে এসবের জবাবে পোপ ফ্রান্সিস কি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন- তা উল্লেখ করা হয়নি মিয়ানমারের পক্ষ থেকে।
যদিও, মিয়ানমার সফরে পোপকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়ে আগেই পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
এর আগে সোমবার পোপ মিয়ানমার পৌঁছুলে হর্ষধ্বনির মাধ্যমে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়।
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এমন এক সময়ে মিয়ানমার সফর করছেন যখন দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত নিধনের অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সঙ্কট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন।
সেনাপ্রধানের পর মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সুচির সাথে দেখা করবেন পোপ।
এরপর তিনি আসবেন বাংলাদেশ সফরে।
সূত্র: বিবিসি