ইজারাদারের স্বেচ্ছাচারিতা : একাধিক নৌকা থাকার কথা থাকলেও আছে ১টি : নেই বিলবোর্ড : অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের : ফেরি চালুর দাবি
বি.এইচ.মাহিনী : অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভাটপাড়া বাজারে ভৈরব নদের খেয়াঘাট একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ঘাট। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই ঘাট দিয়ে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করে। তথাপি ঘাটে একটিমাত্র নৌকা থাকায় যাত্রীদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ভাটপাড়া বাজারে প্রতি সোম ও শুক্রবার হাট বসে। এ দিন ফুলতলা উপজেলার পায়গ্রামকসবা, উত্তরডিহি, জুগ্নিপাশা, মোয়াল্লেমতলা, দক্ষিনডিহি, খানজাহানপুর, পয়গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ বাজার করতে হাজার হাজার লোক ভাটপাড়া বাজারে আসে। প্রতি বুধবার মরিচা বাজারে সাপ্তাহিক হাট ও ঐতিহ্যবাহী চাকই গরুর হাট বসে। এই হাটে খুলনা যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে গরুর ব্যবসায়ী, গরু ক্রেতা বিক্রেতারা অধিকাংশ এই ঘাট দিয়ে পার হয়। অথচ ভাটপাড়া খেয়াখাটে একটি মাত্র নৌকা থাকায় গরু ও সাধারণ মানুষ একই সাথে অনেক ঝুঁকি নিয়ে পার হয়। এমনকি গরুর তাড়া খেয়ে নারী ও শিশুরা নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাছাড়া ফুলতলা উপজেলায় আইয়ান জুট মিল, সুপার জুট মিল এবং সুপারেক্স লেদার মিলে ভৈরব উত্তর অঞ্চলের কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে। তারা প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এমন জনগুরুত্বপুর্ণ খেয়াঘাটে মাত্র একটি নৌকা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রী সাধারণ, পণ্য ও গৃহপালিত পশু পারাপার হয়। নৌকায় একই সাথে মানুষ ও বিভিন্ন কোম্পানীর গাড়ি, নছিমন, করিমন, মাল বোঝাই ভ্যান গাড়ী, মটর সাইকেল অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একবার খেয়া যেতে-আসতে আধা ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যায়। ফলে মানুষের সময়ের অপচয় হয়। এই খেয়াঘাটে একসময় ফেরি চালু ছিল, কিন্তু তা প্রায় অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভাই এঘাটে একবার খেয়া মিস করলে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায় এবং বিভিন্ন সময় মালপত্র ও পরিবহনের ভাড়া নিয়ে ইজারাদারদের সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হতে হয়।’ ঘাটে একটি মাত্র নৌকা থাকার কথা জানতে চাইলে ঘাটের ইজারাদার বিষ্ণুপদ বলেন, ঘাটে নৌকা কয়টি থাকবে সিডিউলে তার কোনো উল্লেখ নেই এবং ভাড়ার রেটবোর্ড না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি তার কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘাটে একটি নৌকা থাকার কথা কি না তার সঠিক নিয়ম আমার জানা নেই, তবে ভাড়ার রেট বোর্ড থাকতে হবে। এতবড় গুরুত্বপুর্ণ খেয়াঘাটে কমপক্ষে তিনটি নৌকা এবং বিভিন্ন মালপত্র পারাপারের ভাড়ার রেটবোর্ড টানানোর ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং এলাকার সাধারণ ভুক্তভোগী মহল।
Check Also
আশাশুনির কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ধ্বস।।আতঙ্কিত এলাকাবাসী
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিতএস,এম মোস্তাফিজুর রহমান(আশাশুনি)সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের মাসিক রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত …