ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগামী ৫ ডিসেম্বর জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বিশেষ অধিবেশন বসছে। অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের নিয়মিত অধিবেশনের বাইরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশেষ এ অধিবেশন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ।
এ জন্য মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন। বাংলাদেশের ওই প্রস্তাবে এক-তৃতীয়াংশের বেশি সদস্য সমর্থন দেয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রা’দ আল হুসেইন তা অনুমোদন করেছেন। খবর রয়টার্সের।
বাংলাদেশ ওই বিশেষ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
যৌন সহিংসতাবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত প্রমীলা প্যাটেন গত সপ্তাহে বলেছেন, তিনি জেনেভার বৈঠকে উপস্থিত থেকে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ওপর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ধর্ষণসহ ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরবেন।
ইতিমধ্যে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর পরিকল্পিত ও বাস্তবায়িত ওই যৌন সহিংসতা যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে এখানে মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হয়ে থাকে। ওই প্রস্তাব মেনে চলার ব্যাপারে আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ মনে করে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ সফল করতে হলে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োজন।
এদিকে গত ১৬ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ১৩৫-১০ ভোটে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর আগামী মাসেই তা সাধারণ পরিষদের প্লেনারিতে উঠবে। এ ছাড়া ১২ ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদেও রোহিঙ্গা নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত প্রমীলা প্যাটেন বক্তব্য রাখবেন।