আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) ও রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদারের (৫৮) নি:শর্তে মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন। বুধবার সকালে দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বারের সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ শামছুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারন সম্পাদক এড্: রফিক উল্যাহ, বারের সাবেক সভাপতি এড্: হাফিজুর রহমান। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এড্: হাসিবুর রহমান, এড্: আজগর হোসেন মাহমুদ , এড্: নজির আহম্মদ, এড্: মোস্তাফিজুর রহমান, এড্: হারুন বেপারী, জাকির হোসেন জাকির এড্: শাহাদাত হোসেন ,এড্: ফখরুল আলম নাহিদ, এড্: মহসিন কবির মুরাদ, এড্: মোহসিন কবির স্বপন প্রমুখ।সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মিথ্যা মামলা জড়িয়ে রায়পুর উপজেলার বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করে সরকার নিচু মনে পরিচয় দিয়েছে।এ সময় আইনজীবীরা গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তিসহ নি:শর্তে সকল মামলা পত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার রায়পুর উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের ক্যাম্পের হাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত: গত ২৫ নভে¤র ঢাকা মিরপুর পীরেরবাগ তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।২৬ ই নভেম্বর আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত ঢাকা মিরপুর মডেল থানা বিস্ফোরক মামলা ও বিশেষ মামলা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। যাহার মামলা নং ৪২ (৬) ১৭। এ সময় আইনজীবী ফোরামের নেতারা আরো বলেন এ্যাভোকেট মনিরুল ইসলামকে মুক্তি না দিলে আগামী কাল ২৯ নভেম্বর সকাল ১০ ঘটিকার দিকে মানববন্ধন কমসূচী সহ আরো বড় ধরনের আন্দোলন করার হুসিয়ারী করেন সরকারকে।
——————————0————————————————–
লক্ষ্মীপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ২৪ লাখ টাকা মালামাল লাপাত্তা
জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে গত তিন বছর আগে দেয়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের চব্বিশ লাখ টাকার মূল্যবান মালামালের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মাষ্টার জানান, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারের জন্য তিন বছর আগে মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ২৪ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ২৫ ধরনের মালামাল সরবরাহ করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনের কাজ চলমান থাকায় অধিকাংশ মালামাল একটি কক্ষে মজুদ করে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে মালামাল গুলো আর স্থাপন করা হয়নি। গত কয়েক মাস আগে জেলা কমান্ডার আনোয়ারুল হক মাষ্টার ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।পরে ডেপুটি কমান্ডার কাজল কান্তি দাস ভারপ্রাপ্ত কমান্ডারের দায়িত্ব নেন। কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে যাওয়ায় গত মাসে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম মুক্তিযোদ্ধা দায়িত্বভার গ্রহণ করতে গেলে মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার কাজল কান্তি দাস জানান, পুরাতন আসবাবপত্র ২৫ ধনেরর মধ্যে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা মালপত্র খুজে পাচ্ছেন না এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানা ১৫/২০ দিন পূর্ব একটি জেডি করা হয়েছে । তবে কম্পিউটার ল্যাপটপসহ অনেকমূল্যবান মালামাল খোয়া গেছে।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি লোকমান হোসেন মুক্তিযোদ্ধাদের মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করার কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
জেলা প্রসাসক হোমায়ারা বেগম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে।