তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের বহুল আলোচিত ৫৪, ৫৫ ও ৫৭ ধারা বিলুপ্তির প্রস্তাব করা হয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়।
এ সভায় ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, ২০১৭’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ আইনটি সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তবে নতুন ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বিষয়গুলো সন্নিবেশ করা হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি তথ্যমন্ত্রী।
এদিকে সভা শেষে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, এই ৫৭ ধারা সেভাবে থাকবে না এবং ফ্রিডম অব স্পিচ (বাকস্বাধীনতা) রক্ষা করার জন্য যেসব চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের দরকার, সেগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও সম্প্রচার আইনে থাকবে।
বুধবারের আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন চূড়ান্ত হওয়ার পর এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ ধারায় পরিবর্তন করে আইনটি চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে সরকার।
পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, মালামাল জব্দ ও গ্রেফতারসংক্রান্ত বিধান রেখে ওই খসড়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে ৫৭ ধারায় অজামিনযোগ্যের পরিবর্তে জামিনযোগ্য ও সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের স্থলে দুবছর রাখা হয়েছে খসড়ায়।