আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরম পূরনের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে লক্ষীপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পিয়ন ওসমান। অনার্স ও ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ৫১ জন পরীক্ষার্থীর ফরম পূরনের টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে গেছে পিয়ন ওসমান। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি ৫১ জন শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রবেশ পত্র নিতে এসে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে ওসমান কলেজে নেই। ওসমান কে মোবাইলে কল করলে পরীক্ষার দিন প্রবেশ পত্র দিবে বলে অনেক শিক্ষার্থীকে আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরীক্ষার দিন সকালে এসে ওসমান কে না পেয়ে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।
এ বিষয়য়ে ইসলাম ইষ্টাডিজ বিভাগের প্রধান নুরুল আফসার চৌধুরীর কাছে অভিযোগ করা হলে তিনি আগামী বছর পরীক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ৫১ জন প্রতারনার শিকার শিক্ষার্থীর উজ্জল ভবিশ্যৎ।
এ বিষয়ে পিয়ন ওসমানের মোবাইলে বার বার কল করেও পাওয়া যায়নি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) পরীক্ষার দিন ওসমানকে কলেজের আঙিনায় দেখা যায়নি। তাই এ বিষয়ে ওসমানের কোন মতামত যানা যায়নি।
তথ্য অনুসন্ধানে যানা যায়, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একজন বিশ্বস্ত পিয়ন ওসমান। তাই যাবতিয় দাপ্তরিক কাজ খন্ডকালীন কর্মচারী ওসমান পরিচালনা করেন। এ কেন্দ্রীক অক্টোবর ও নভেম্বর অনার্স ও ডিগ্রি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের নিয়মিত ও অনিয়মিত ৫১ জন শিক্ষারর্থীদের ফরম পূরণের কথা বলে নগত ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫শত টাকা হাতিয়ে নেন। যদিও ফরম পূরণের টাকা শিউর কেশে দেওয়ার কথা।
ইসলামিক স্টডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিব্বির আহমেদ বলেন,ওসমান আমাদের বিভাগের প্রধান নুরুল আফসার চৌধুরীর একজন আস্থাভাজন কর্মচারী। তার নির্দেশে আমরা বিভিন্ন শিক্ষা বর্ষের ৫১ জন শিক্ষার্থী ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫শত টাকা দিয়েছি। অতএব এ দায় ভার তাকেই নিতে হবে। তিনি যে ভাবেই পারেন আমাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
লক্ষীপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন পাঠান জানান, ফরম পূরণের জন্য কোন নগদ টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি কেবল আজকে জানতে পেরেছি। আমি এর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করব।