রহিম রেজা, রাজাপুর (ঝালকাঠি) থেকে:ঝালকাঠির রাজাপুরের মেডিকেল মোড়ের জালিয়াবাড়ি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পঙ্গু স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই তার স্ত্রী গৃহবধূকে ৩জনে মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিককলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির ওরফে টাইগার মনির (৪৮) ও বালু ব্যবসায়ী মোঃ ছিদ্দিক (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলের এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজাপুর থানায় এসে অভিযোগ দিলে পুলিশ রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে টাইগার মনিরকে ও ভোররাতে সিদ্দিক আটক করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই গৃহবধূ গণধর্ষনকারী ৩ জন ও দুই সহযোগীসহ ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করলে আটক দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে এবং গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শ্রমিককলীগের বর্তমান উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনির উপজেলা সদরের বাইপাস এলাকার মৃত আঃ হাকিম হাওলাদার ছেলে এবং বালু ব্যবসায়ী সিদ্দিক পাশর্^বর্তী উপজেলা ভান্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত হোসেন আলী হাওলাদার। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের ওই গৃহবধূ তার দিনমজুর স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে রাজাপুরের জালিয়াবড়ি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় আঃ মন্নান হাওলাদারের টিনশেড পাকা বসতঘরে একটি টিনসেট বাসায় একমাস ধরে ভাড়া থাকছেন। দিনমজুর স্বামী এক সপ্তাহ আগে গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙ্গে বর্তমানে পঙ্গু অবস্থায় বাসায় আছেন। গণধর্ষণে জড়িত আসামীরা ওইগৃহবধূর স্বামীর পূর্ব পরিচিত। সেই সুযোগে আসামী টাইগার মনির ও মনির মোল্লা পা ভাঙ্গার দেখার জন্য ২৯ নভেম্বর বিকেলে বসত ঘরের সামনের রুমে প্রবেশ করিয়া সামনের কক্ষে অবস্থানরত অসুস্থ স্বামীর সাথে কথাবার্তা এক পর্যায়ে তাদে ভয়ভীতি দেখিয়ে বেঁধে জিম্মি করে রাখে এবং ওই গৃহবধূ পাকের ঘরে রান্না করিতে থাকা অবস্থায় আসামী টাইগার মনির, মোঃ ছিদ্দিক ও মনির মোল্লা রান্না ঘরে প্রবেশ করে কালো রংয়ের ১টি চাকু দেখিয়ে জিম্মি করে মাঝের কক্ষে নিয়া প্রথমে আসামী টাইগার মনির ওইগৃহবধূর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে একইভাবে আসামী ছিদ্দিক ও ৪ নম্বর আসামী ভান্ডারিয়ার জোলাগাতি গ্রামের মৃত মেনাজ হাওলাদার ছেলে মামুন হাওলাদার (৪২)ু তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে এবং ভান্ডারিয়ার মেদিরাবাদ গ্রামের সোবহান মোল্লার ছেলে মনির মোল্লা (৪২) ও ভান্ডারিয়ার জোলাগাতি গ্রামের মৃত মকবুল বিশ^াসের ছেলে চুন্নু বিশ^াস (৪২) তার পঙ্গু স্বামীর ভাঙ্গা ব্যাথা পায়ে আঘাত করে ব্যাথা দিয়ে দুর্বল করে ভয় দেখিয়ে খাটের সাথে বেঁধে জিম্মি করে রাখে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর থানার এসআই আব্দুস সালাম জানান, গ্রেফতারকৃত মনির ও সিদ্দিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ও ওই গৃহবধূর ডাক্তারী পরিক্ষা করানো হচ্ছে। অপর পলাতক ৩ আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত মনিরের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণ ও সস্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …