ক্রাইমবার্তা আন্তজার্তিক রিপোর্ট:দোহা: আসন্ন গাল্ফ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য লিখিত আমন্ত্রণ পেয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
কুয়েতের আমির সাবাহ আহমেদ আল জাবের আল সাবাহ কাতারি আমিরকে লিখিত এই আমন্ত্রণ জানান।
আগামী মঙ্গলবার কুয়েতে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন।
কুয়েতের একজন কূটনৈতিক আল জাজিরাকে বলেন, ‘৫ থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত দুই দিনের গাল্ফ সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য কুয়েতের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে তাদের লিখিত জবাবের জন্য অপেক্ষায় আছি।’
তিনি জানান, গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের অন্তর্ভূক্ত সব দেশের অনুমোদনের পর পরিকল্পনামাফিক নির্ধারিত সময়েই এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
এই সম্মেলন গত ছয় মাস ধরে চলা গাল্ফ সঙ্কট প্রশমনে বিরাট অগ্রগতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর থেকে কুয়েত এই সঙ্কট সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
প্রতিবেশী এই দেশগুলোর অভিযোগ কাতার সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে। যদিও কাতার তা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
সৌদির ‘ভীতি প্রদর্শন’ মধ্যপ্রাচ্যকে ঝুঁকিতে ফেলছে: কাতার
মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করতে সৌদি আরবের ‘ভীতি প্রদর্শন ক্যাম্পেইনের’ সবশের্ষ শিকার লেবানন বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের উপ প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি।
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে একটি গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আল থানি এসব কথা বলেন।
একই সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল-থানি অভিযোগ করেন, রিয়াদ তার প্রতিবেশিদেরকে ভয় দেখানো চেষ্টা করছে এবং চলমান কূটনৈতিক সঙ্কটকে একটি নতুন সংঘাতের ঝুকিঁর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
রিয়াদে অবস্থানকালে সাদ হারিরিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং এর আগে তাকে ‘গৃহবন্ধি’ করে রাখা হয়েছিল বলে লেবাননের রাজনীতিবিদদের দাবির বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করে কাতারি মন্ত্রী বলেন, ‘লেবানন এমনিতেই একটি ভঙ্গুর দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ এবং একটি দেশকে নেতৃত্বশূন্য করা প্রত্যেকের জন্য খুবই সংবেদনশীল এবং তা প্রচলিত নীতির বিরুদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে একটি ছোট রাষ্ট্রের ওপর বড় রাষ্ট্রের নিপীড়ন। এর আগে আমরা তা কাতারের ওপর প্রয়োগ করতে দেখেছি এবং এখন তা লেবাননের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করার আগেই সহায়তা করার জন্য আল্লাহ এবং সমস্ত সহযোগীদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুরু থেকেই এই সমর্থন না পেলে আমাদের ওপর একটি ভীতিকর প্রভাব পড়ত।’
মিশর ও ফ্রান্সের হস্তক্ষেপের পর হারিরি সৌদি আরব ত্যাগ করেন। গত সপ্তাহে তিনি লেবাননে ফিরে আসেন এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট মিচেল আওনের অনুরোধে তার পদত্যাগ স্থগিত করেন।
হারিরিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ ওঠেছে তা সৌদি নেতারা অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, কাতারের ওপর অবরোধ আরোপকে ‘সমর্থণযোগ্য’ বলে দেশটি দাবি করছে।
জনাব আল-থানি এর মন্তব্য কূটনৈতিক সংকটের ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের মধ্যে এসেছিলেন, যা দেখেছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে দেশগুলো জুন মাসে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং সরকারকে সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে এবং সহযোগিতার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।