ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:সৌম্য সরকার যেন এক ধাঁধার নাম! কখনও তার ব্যাটের ঝড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ, কখনও তিনি নিজেই বন্দি হয়ে যান ব্যর্থতার বৃত্তে। এবারের বিপিএলে কয়েকটি ম্যাচে ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। জাতীয় দলের ওপেনার বুঝতে পারছেন না, সমস্যাটা ঠিক কোথায়।
গত জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৪ ম্যাচে মাত্র ৩৪ রান করা সৌম্য একটা ওয়ানডেতেই সুযোগ পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ওই ম্যাচে তার অবদান ছিল মাত্র ৮ রান। প্রোটিয়াদের মাটিতে একটা টেস্ট খেললেও সুবিধা করতে পারেননি, দুই ইনিংসে করেছিলেন ৯ আর ৩ রান। তবে দুটো টি-টোয়েন্টিতেই জ্বলে উঠেছিলেন। ৪৭ আর ৪৪ রানের দুটো আক্রমণাত্মক ইনিংসে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল পুরোনো সৌম্যকে।
দেশে ফিরে বিপিএলে অবশ্য দল চিটাগং ভাইকিংসের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ৯ ম্যাচে ১৬.৮৮ গড় আর ৯৮.০৬ স্ট্রাইক রেটে মোট ১৫২ রান করেছেন, সর্বোচ্চ ৩৮। কেন আবার ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন, বুঝতেই পারছেন না সৌম্য। শুক্রবার মিরপুর একাডেমি মাঠে ভাইকিংসের অনুশীলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিরিশের ঘরে চারবার আউট হয়েছি। ইনিংসগুলো বড় করতে পারলে সবাই বলতো, সৌম্য রান করছে। ৩০-৪০ রান করে আউট হচ্ছি বলে নিজেরও খারাপ লাগছে। ব্যর্থতা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। চেষ্টা করবো পরের ম্যাচগুলোতে বড় ইনিংস খেলতে।’
বড় ইনিংস খেলতে না পারার পেছনে মানসিক বাধাকে দায়ী করছেন সৌম্য। নিজেই জানালেন, বিপিএল শেষে ব্যক্তিগত কোচের শরণাপন্ন হবেন তিনি, ‘মানসিক সমস্যা তো অবশ্যই আছে। সমস্যাটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। তাই বিপিএল শেষ হওয়ার পর আমার ব্যক্তিগত কোচের সঙ্গে কাজ করবো।’
সৌম্যর মতো চিটাগং ভাইকিংসও এবারের বিপিএলে ব্যর্থ। সবার আগে শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে দলটি। ভাইকিংসের বাকি দুই প্রতিপক্ষ সিলেট সিক্সার্স আর রাজশাহী কিংস। এই দুই ম্যাচ জিতে সাফল্যের তৃপ্তি নিয়ে বিপিএল শেষ করতে চান সৌম্য, ‘বাকি দুই ম্যাচ জিততে পারলে চারটি জয় নিয়ে বিপিএল শেষ করবো। শেষ দুই ম্যাচ জিততে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে।’