- ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বিমানবন্দরে পৌঁছে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরাসরি মেয়রের বনানীর বাসায় নেয়া হচ্ছে মরদেহ।
শনিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেস বিমানবন্দর থেকে বের হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হক ও এক নাতনি।
জানা গেছে, মেয়রের কফিনবাহী বাংলাদেশ বিমানের বিমানের বিজি-২০২ নিয়মিত ফ্লাইটটি বেলা সাড়ে ১১টায় লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছে।
সেখান থেকে ১২টা ৪৫ মিনিটের মেয়রের মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। বিমান থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে আনা হয়।
সেখানে মেয়রের প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর বনানীর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয় মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স।
বিকাল ৩টা থেকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আনিসুল হকের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হবে।
সেখানেই বিকাল ৪টায় আসরের নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ বনানী করবস্থানে দাফন করা হবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে আনিসুল হকের কফিনবাহী বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইট লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের সেন্ট্রাল মসজিদ (রিজেন্ট পার্ক মসজিদ নামে পরিচিত) জুমার নামাজের পর আনিসুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশি সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। ২৮ নভেম্বর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে পুনরায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।