কাদিরের গোজা পল্লী বিদ্যুতের সংযোগে নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা

আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের কাদিরের গোজার খোকন মেকারের বাড়ির রোড পল্লী বিদ্যুত ৩৮ টি মিটার সংযোগের নামে তিন লাখ বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চা দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম ও মটর চালিত বেন গাড়ির চালক লেদু নামে এক সক্রিয় দালাল চক্র। ঐ গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের অজ্ঞাতকে পুঁজি করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেয়ার নামে ্ওই সব চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাক টাকা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অথচ আরইবির নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক সংযোগ বা মিটার প্রত্যাশীকে এক শত টাকা ফ্রি প্রদানের মাধ্যেমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে । জিডি বাবত ছয় শত টাকা ও সদস্য ফ্রী বাবদ পঞ্চাশ টাকা জমা দিতে হয় এবং সদস্য ফ্রী বাবদ পঞ্চাশ টাকা আর এসব আরইবি নিজের উদ্যোগে কাজ করছে।
জানা গেছে চলতি বছরের ১০ মাস ধরে বেন চালক লেদু ও চা দোকানদার জাহাঙ্গীর আলমসহ এ প্রতারক চক্র বিদ্যুত দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মিটার সংযোগ পত্যাশিরা।
এ চক্রের মূল হোতো শাকচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খোকা মেকার বাড়ির খোকা মেকারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৮) সরোজমিনে গেলে এমন অভিযোগ করেন বিদ্যু গ্রাহকেরা। প্রতারক চক্রের চাহিদামত টাকা দিলেও সময়মতো অনেকে বিদ্যুৎ না পেয়ে হতাশায় রয়েছে ওই গ্রামের অনেক পরিবার। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিনামূল্যে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার কথা থাকলেও লাখ লাখ টাকা দিয়েও তা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতারক চক্রের রোষানলে পড়ে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
কিন্তু কাদিরার গোজা,করাতির হাট সড়ক থেকে হজল করীম, খোকা মেখার সড়কে আশে পাশে ৩৮টি মিটার, ৯ নং ওয়ার্ডে সহজসরল সাধারন মানুষের অজ্ঞাতাকে পুজি করে এলাকার দালাল চক্র লাইনের স্থাপন জরিপ এবং মাপজোক দলকে ম্যানেজ বাবদ গ্রাহক প্রতি একশত পঞ্চাশ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও খুঁটি স্থাপনের সময় ঠিকাদারের পরিবহন খরচের কথা বলে গ্রাহক প্রতি এক হাজার টাকা এবং সংযোগ স্থাপন বাবদ সাড়ে তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ করেন ঐ এলাকার হজল করীম বাড়ির আক্তার হোসেন, জনাপি বেগম, কবির ,বাশার মিটার গ্রাহকেরা।
অপর দিকে কাগজপত্রে ক্রটি কিংবা বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে বাড়ী দূরে হলে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন হাজার টাকা। এমন অভিযোগ শাকচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াডে করাতির হাট বেড়ির বাঁধ গ্রামের রোডে ৩৮ টি মিটার সংযোগ প্রত্যাশীদের। এদিকে খোকা মেকার বাড়ির ফারবিন, আনোয়ার হোসেন ,মরণ আলী ,রহিম, জসিম, সেলিম, নুরুল আমিন, শাহআলম,হারুন, নাসির , আশ্ররাফ, জহির, আরিফ সহ আরো অনেকের অভিযোগ করে বলেন, ছয় মাস থেকে এক বছর পূর্বে ধাপে ধাপে দালাল চক্রের চাহিদানুযায়ী টাকা জমা দিয়ে ওয়ারিং সম্পন্ন করা হলেও এখনো তাদের সংযোগ মিলেনি।
গ্রাহক থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ে বিষয়ে চা দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম জানান ,গ্রাহক থেকে টাকা নিয়ে নেশান নামে এক ব্যাক্তিকে দিয়েছি। অপর দিকে বেন চালক লেদু জানান, পল্লী বিদ্যুতের ১৫ খুঁটি পাওয়ার জন্য। ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার, লেবার, রোডের পাশে গাছ কাটা, সহ আমাদের বহু টাকা খরচ হয়েছে। এ কারনে মিটার প্রতি নগদ সাড়ে তিন হাজার নেওয়া হয়েছে। সংযোগ কালে সাড়ে চার হাজার টাকা গ্রাহক থেকে আদায় করতে হবে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন,জেলার যে কোন জায়গায় বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের কাজ ও মিটার সংযোগ দেওয়া পর্যন্ত সরকারের অর্থায়নে হচ্ছে। কেউ যদি এখানে প্রতারণা করতে চায় কিংবা প্রতারণার আশ্রয় নেয় অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ কর্মকর্তা।

 

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।