ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার’ দাউদ ইব্রাহিম। মাফিয়া সাম্রাজ্যের ত্রাস এই দাউদের ছোটভাই ইকবাল কাসকর সম্প্রতি বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে।
যেখানে উঠে এসেছে দাউদের লেনদেনের বিভিন্ন তথ্য। দাউদ ইব্রাহিম তার সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের জন্য এখন ‘বিটকয়েন’-এর সাহায্য নিচ্ছেন। ইকবালকে জেরা করতে গিয়ে শুক্রবার এই কথা জানতে পারলেন তদন্তকারীরা।
‘বিটকয়েন’ কী?
বিটকয়েন হল কম্পিউটার পরিচালিত ডিজিটাল মুদ্রা বা ‘ক্রিপ্টো কারেন্সি’। যা হাতে ধরে দেখা যায় না। এই কয়েন ব্যবহার করতে গেলে ব্যাঙ্কে কোনও টাকাও কাটা হয় না। এই অর্থ লেনদেনের ওপর থাকে না কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে এই অর্থ ব্যবহার করা যায়।
বিটকয়েন ইদানীং বেশ জনপ্রিয়।
ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার পরে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, সিকিম, ভুটানেও ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছে বিটকয়েন।
২০০৯ সালে সতোশি নাকামোটো নামের এক সংস্থা বা ব্যক্তি আড়াল থেকে এই বিটকয়েন-এর প্রচলন শুরু করেন।
এদিকে গত সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বাই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ইকবাল। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দাউদ পরিচালিত ডি-কোম্পানি এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার বিটকয়েন কিনেছে। এই বিটকয়েন মূলত দাউদ তার মাদক, অস্ত্রশস্ত্র এবং বাড়ি তৈরির কালো ব্যবসায় ব্যবহার করছে।
ইকবাল আরও জানায়, দাউদ ইব্রাহিম এখন ডলার, পাউন্ড, আর টাকার বিকল্প খুঁজছেন। এখনও পর্যন্ত দাউদের কেনা ১৫ হাজার বিটকয়েনের ভারতীয় আর্থিক মূল্য হল ৯৫০ কোটি টাকা।
ডার্ক ওয়েবসাইট-এর মতো অবৈধ নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এবং নিজেদের আসল পরিচয় গোপন করে ডি-কোম্পানি এই মুহূর্তে তাদের যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের কাজ চালাচ্ছে সারা পৃথিবীতে। শুধু তাই নয়, বিটকয়েন-এর মাধ্যমেই ডি-কোম্পানি এই মুহূর্তে তাদের সংস্থার সদস্যদের মাস মাইনে এবং অন্ধকার জগতের সব কাজকর্মের মদত দিতে ব্যবহার করছে। সারা পৃথিবীর রিয়েল এস্টেট, শেয়ার মার্কেট আর সোনার বাজারে লগ্নি করে বসে থাকা ডি-কোম্পানির এখনকার এই নতুন অর্থনৈতিক চেহারার চাল গোয়েন্দাদের সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ।