রয়টার্স/ আনাদোলু : তুরস্ককে বিচারের মুখোমুখি করার এখতিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতগুলোর নেই বলে দাবি করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগান। তুরস্কের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে চলমান মামলার প্রসঙ্গ টেনে গত শনিবার এ কথা বলেন তিনি। ইরানবিরোধী মার্কিন অবরোধ এড়িয়ে দেশটির সঙ্গে লেনদেনের দায়ে ওই কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা জানায়, আগে থেকেই টানাপড়েনের মধ্যে থাকা আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরও খারাপ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারাধীন তুর্কি বংশোদ্ভূত ইরানি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রেজা জারাবের জবানবন্দিকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইরানে মার্কিন অবরোধ এড়িয়ে দেশটির সঙ্গে একটি স্কিমে তুরস্কের অংশ নেওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন জারাব। তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা জবানবন্দিতে জারাব দাবি করেছেন, এরদোয়ানসহ তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা এ স্কিমে জড়িত ছিলেন। এরদোগান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগতভাবে দুটি তুর্কি ব্যাংককে ওই ইরানি স্কিমে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।
প্রায় ১৫ বছর ধরে তুরস্কের শাসন ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান শনিবার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কারস এ তার দল একে পার্টির সদস্যদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আদালত কখনও আমার দেশকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে না।’
এর আগে শুক্রবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আঙ্কারার দাবি, তুরস্কের ভাবমূর্তি ও অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষুণ্ণ করতেই এ জবানবন্দি প্রচার করা হয়েছে। এর আগে দেশটি দাবি করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ইরানি নাগরিক ফেতুল্লাহ গুলেনের লোকেদের পরিকল্পনা এটি। গত বছর তুরস্কের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য এ গুলেনকেই দায়ী করে থাকে এরদোগান সরকার। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জারাব যেসব মন্ত্রীর কথা বলেছেন তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বার বারই যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে আসছে তুরস্ক। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ধর্মীয় চিন্তাবিদ গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ তুরস্ককে হাজির করতে হবে।