সাদেকুর রহমান : আজ সোমবার বিজয় ও গৌরবের মাস ডিসেম্বরের চতুর্থ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশব্যাপী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর চূড়ান্ত হামলা চালানো হয়। সেদিন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা দৃপ্ত প্রত্যয়ে গেরিলা হামলা শুরু করে। লক্ষ্য একটিই, দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করা। সারা দেশ যেনো কেঁপে ওঠে বিজয়ের প্রসব বেদনায়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের খাতায় ‘পূর্ব পাকিস্তান’ থাকলেও এ অঞ্চলের জনগণ তা পুরোদস্তুর অস্বীকার করতে থাকে। বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা হামলার ফলে পিছু হটতে থাকে পাকিস্তানি ফৌজরা। নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ভিন্ন পথ বেছে নেন। তিনি হস্তক্ষেপ কামনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি পাঠান। পাকিস্তানের প্রতি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ঘটনাক্রমেই বেড়ে চলেছে।
এদিন রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের উভয় অংশে যুদ্ধ চলছে। পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় চাপ মোকাবিলা করা হচ্ছে। মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেবে বলে চীন ওয়াদা করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এক জরুরি লিপিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, পাকিস্তানের সর্বশেষ আক্রমণের সমুচিত জবাব প্রদানে ভারতীয় বাহিনীর এবং বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর মিলিত ভূমিকা সফলতর হতে পারে, যদি এই দুটি দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
নুরুজ্জামান মানিকের ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতিদিন মার্চ-ডিসেম্বর ১৯৭১’ গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে,“দখলদার সৈন্যদের যুদ্ধ-পরিশ্রান্ত ও হতোদ্যম করে তোলার পর মুক্তিবাহিনীর আট মাস দীর্ঘ সংগ্রামকে চূড়ান্তভাবে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে ৪ ডিসেম্বর থেকে ভারতীয়রা স্থলবাহিনীর সম্মুখ অভিযান শুরু হয় চারটি অঞ্চল থেকে : ১. পূর্বে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে তিন ডিভিশনের সমবায়ে গঠিত চতুর্থ কোর সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা-নোয়াখালী অভিমুখে; ২. উত্তরাঞ্চল থেকে দু’ডিভিশনের সমবায়ে গঠিত ৩৩তম কোর রংপুর-দিনাজপুর-বগুড়া অভিমুখে; ৩. পশ্চিমাঞ্চল থেকে দু’ডিভিশনের সমবায়ে গঠিত ২য় কোর যশোর-খুলনা-কুষ্টিয়া-ফরিদপুর অভিমুখে এবং ৪. মেঘালয় রাজ্যের তুরা থেকে ডিভিশন অপেক্ষা কম আর একটি বাহিনী জামালপুর-ময়মনসিংহ অভিমুখে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ভারতের বিমান ও নৌশক্তি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচ্ছন্ন কিন্তু সদা তৎপর সহযোগিতা এবং স্বাধীনতাকামী জনসাধারনের স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য ও সক্রিয় সহযোগিতা। এই সমুদয় শক্তির সংমিশ্রণ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশে পাকিস্তানি আধিপত্য স্বল্প সময়ের মধ্যে বিলোপ করার যথেষ্ট চেষ্টা ছিল। বস্তুত যুদ্ধারম্ভের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ মিলিত বাহিনীর বিজয় সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ কোনো মহলেই ছিল না।”
উক্ত গ্রন্থে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, “এদিনে ৪ নম্বর সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল সি আর দত্ত এবং জেড ফোর্সের মেজর জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে সিলেটের কানাইঘাট দখলের পর ঐ এলাকায় শক্তিশালী অবস্থান গ্রহন করেন। ৩ নম্বর সেক্টরের মুক্তিবাহিনী শমসেরনগর বিমানবন্দর এবং আখাউড়া রেলস্টেশন দখল করে। ৮ নম্বর সেক্টরের মুক্তিবাহিনী মেহেরপুর দখল করে যশোরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। ১১ নম্বর সেক্টরে যৌথবাহিনী বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানিদের শক্ত ঘাঁটি কামালপুর বিওপি দখল করে। পাকিস্তানি বাহিনী দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন দখলে রাখার সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহন করে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবমেরিন পিএনএস গাজী বিশাখাপত্তম বন্দরের কাছে আক্রান্ত হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ভারতীয় বিমান এবং নৌবাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো বারবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, চালনা প্রভৃতি এলাকার সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়।”
লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এদিন রাতে ডিফেন্স মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “পূর্ব পাকিস্তানে বিমান আক্রমণ এত সুস্পষ্ট হয়েছে যে এখন হাতেগোনা যাবে। যদিও ভারত দাবি করে যে তারা ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের ৩৩টিরও বেশি বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন নিশানায় পাকিস্তানের বিমান আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। দুই দফা নয়া দিল্লীতে লাল সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। দিল্লী বিমান বন্দরে যাত্রীদের দুই বার আশ্রয় নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বিমান যুদ্ধের কারণে বিওএসিসহ ৬টি সিভিল এয়ার লাইন দিল্লী, কলকাতা ও করাচীতে সকল ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।” এছাড়া একজন সরকারি মুখপাত্র জানান, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করে শত্রু নিধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই অমৃতসর, পাঠানকোট, অবন্তীপুর, শ্রীনগর ছাড়াও রাজস্থানের উত্তরালি হরিয়ানার আম্বালা ও উত্তর প্রদেশের আগ্রা বিমান ক্ষেত্রে আক্রমণ চালিয়েছে। খবরটি পরদিন ৫ ডিসেম্বর দৈনিক পাকিস্তান, ইত্তেফাক ও পূর্বদেশে প্রকাশিত হয়।
পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ভারতের আগ্রা সহ বিভিন্ন স্থানে গোলাবারুদ নিক্ষেপ করে। ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা এ সময় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়ায় দ্রুত বদলে যায় দৃশ্যপট। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুঃসাহসিক অভিযানের সূত্র ধরে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের উড্ডীয়মান প্রায় সব বিমান ধ্বংস করে দেয়। এ সময় বাংলাদেশের দখলকৃত এলাকার পাকিস্তানের ১১টি সেভর জেট জঙ্গি বিমান গুলী করে ভূপাতিত করা হয়। ঢাকার আকাশে যুদ্ধে চারটি শত্রু বিমান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। এছাড়া যশোরে ৪টি এবং লালমনিরহাটে ৩টি হানাদার বিমানকে গুলী দিয়ে আলিঙ্গন করা হয়। স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশের নবগঠিত বিমানবাহিনীর নব্য বৈমানিকগণও সাফল্যের সাথে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন শিক্ষাপ্রাপ্ত বৈমানিকগণ অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে বাংলাদেশের অধিকৃত অঞ্চলে দখলদার বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর ওপর সফল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই বিজয়ের পথ ক্রমশ সহজ হয়ে যাচ্ছে।
ভারতের পূর্বাঞ্চল সামরিক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে দৃঢ়তার সাথে বলেন, বাংলাদেশ দখল করার ইচ্ছা ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেই। বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ যাতে বাংলাদেশের লোকায়ত সরকার গঠন করতে পারেন আমরা সেই চেষ্টাই করছি মাত্র। সেই উদ্দেশে আমাদের সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে এবং মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করে যাচ্ছে। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, বাংলার জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের পাশে আমরা আছি এবং থাকবো।
এদিকে আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার তার ‘৭০ থেকে ৯০ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেন, “এদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জোসেফ সিসকো সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সীমান্ত সংঘর্ষের জন্য প্রধানত ভারতই দায়ী। যুদ্ধ এড়িয়ে যাবার সকল মার্কিন প্রস্তাবকে সে নাকচ করে দিয়েছে। কাজেই পাকিস্তানকে যাবতীয় নৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য নিক্সন কিসিঞ্জারকে নির্দেশ দেন। নিক্সনের এই নীতিই “ঞওখঞ চঙখওঈণ” নামে অভিহিত।”
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত একাডেমির তৎকালীন পরিচালক কবি আসাদ চৌধুরীর লেখা ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থে একাত্তরের ৪ ডিসেম্বরের ঘটনাবলী তুলে ধরে অল্প কথায় বলা হয়- “মিত্রবাহিনীর হামলায় পাকিস্তান বিমানবাহিনী কার্যত বিধ্বস্ত। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চালনা, চাঁদপুর নৌবাহিনীর হামলায় বিপর্যস্ত। কুষ্টিয়া মুক্ত।” অন্যান্য প্রামাণ্য দলিল অনুযায়ী, এই দিনে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, চাঁদপুরের মতলব ও লক্ষ্মীপুর হানাদার দখলমুক্ত হয়।
এদিনের ঘটনাপ্রবাহের ছটা পড়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তান সরকারের আমলা ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১’ গ্রন্থেও। তিনি এতে উল্লেখ করেছেন, “৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-ঘোষণা করল। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ কমান্ড গঠন করল। সম্মিলিত বাহিনীর নামকরণ হল ‘মিত্রবাহিনী’। নিরাপত্তা পরিষদে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রদান করল। ভারত ও বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের মুখ বন্ধ হলো (যারা এতদিন বাংলাদেশের সর্বদলীয় ঐকমত্যের এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ভারতের সখ্যের বিরোধিতা করে আসছিল)। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অনুরোধ জানিয়ে এদিন আমাদের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে একটি বিশেষ চিঠি পাঠালেন। প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে তার চিঠিতে সেই সুসংবাদটি সম্পর্কে অবহিত করেন, যে সংবাদের জন্য আমরা গভীর আগ্রহ আর উৎকণ্ঠার সাথে এতদিন অপেক্ষা করছিলাম। ভারত সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। সে দিন আমাদের কী আনন্দ! সংবাদটি আমরা আগেই পেয়েছি। মিসেস গান্ধীর চিঠির বার্তা আনুষ্ঠানিক। প্রধানমন্ত্রী এটি গ্রহণ করেন ৭-১২-৭১ অপরাহ্নে ৩টা ২৫ মিনিটে। মিসেস গান্ধীর চিঠি ছিল এক কথায় অপূর্ব।”এইচ টি ইমাম আরো লিখেন, এদিন ভারতীয় নৌবাহিনীর হামলায় পাকিস্তানি ডেস্ট্রয়ার ‘খাইবার’ ও ‘শাহজাহান’ করাচির অদূরে ধ্বংস হয়।
এদিকে, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য কাজী ফজলুর রহমান তার ‘দিনলিপি একাত্তর’ শীর্ষক গ্রন্থে ৪ ডিসেম্বরের ঘটনা তুলে ধরে বলেছেন, “ইয়াহিয়া কি সত্যিই সক্রিয় মার্কিন সাহায্য ও চীনের অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পেয়েই যুদ্ধ শুরু করলো কিংবা ডেসপারেট হয়ে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইল যাতে আমেরিকা ও চীন জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হবে। যাই হোক, পাকিস্তানিরা যে এই রকমের একটা গ্যাম্বেল নেবে, এই ধারণা কিন্তু আমার বেশ কিছু দিন ধরে। তারা জানে এই রকম একটা কিছু না করলে ভারতীয়দের দরকার হবে না- মুক্তিফৌজ আর গেরিলাদের হাতেই তার শেষ হয়ে যাবে। এখন কথাটা হচ্ছে আমেরিকা, চীন আর সোভিয়েত ইউনিয়ন কি করে।”
অন্যদিকে এদিন চীনের অস্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চী পেং ফেই পাকিস্তানের ওপর ভারতীয় হামলার নিন্দা করে পাকিস্তানকে দৃঢ় সমর্থন দেয়ার অঙ্গীকার করেন। এ সময়ে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, স্বাধীনতার জন্য উদগ্রীব মানুষ দারুণ কৌতূহলী হয়ে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘বৃটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)’ ও ‘ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া)’ শোনে।
Check Also
দেবহাটায় বিজয় ও শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
এ বি সিদ্দিক,দেবহাটা প্রতিনিধি:- দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২১ …