ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রদূত এম মারুফ জামান নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাসায় গিয়ে তিন জন সুঠামদেহী ব্যক্তি তার কম্পিউটার ও ল্যাপটপ নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
এসময় তারা বাসার ভেতরে তল্লাশিও চালায়। মারুফ জামান নিখোঁজ হওয়ার পরপরই ওই তিন ব্যক্তি তার বাসায় যান। এমনটাই বলা হয়েছে নিখোঁজ সাবেক রাষ্ট্রদূতের পরিবারের পক্ষ থেকে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান। তিনি সর্বশেষ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি কাতারের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর হিসেবেও কাজ করেছেন। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন মারুফ জামানের ব্যক্তিগত গাড়িটি খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার দেয়া ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাতার ও ভিয়েতনামের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মারুফ জামান গত ৪ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের (ষষ্ঠ শর্ট কোর্স) একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ছিলেন।
মারুফ জামানের পরিবারের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪ ডিসেম্বর তার ছোট মেয়ে সামিহা জামানকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসতে তিনি সন্ধ্যায় ধানমন্ডির বাসা থেকে গাড়ি চালিয়ে বের হন। তার কিছুক্ষণ পর ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বাসার ল্যান্ড ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে গৃহপরিচারিকাকে বলেন, তার বাসায় কম্পিউটার নিতে কেউ একজন আসবেন। এর কিছুক্ষণ পর ৮টা ৫ মিনিটের দিকে তিন জন সুঠামদেহী ভদ্রলোক বাসায় এসে তার ল্যাপটপ, বাসার কম্পিউটারের সিপিইউ, ক্যামেরা, একটি স্মার্টফোন নিয়ে যায় ও তার ঘরে তল্লাশি চালায়। সেসময় তার ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ ডিসেম্বর দুপুরে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় (জিডি নং ২১৩)। সন্ধ্যায় তার গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-গ-২১-১৩৯৯) পুলিশ খিলক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। তবে মারুফ জামানের সঙ্গে কোনও ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরিবারের সদস্যরা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন।’ এসময় মারুফ জামানকে যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করার দাবি জানানো হয়।
০৬ ডিসেম্বর ২০১৭,বুধবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতনিধি/আসাবি