শীতলপাটি বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। সিলেটে এই পাটি বুনন করা হয়। যারা বুননের এই কাজটি করেন তাদের পাটিয়াল হিসেবে ডাকা হয়। ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে সোমবার চলা আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটির বৈঠকে শীতলপাটির বুনন পদ্ধতিকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তালিকায় বাংলাদেশের কারুশিল্প জামদানি এবং বাউল গানও স্থান পায়। গত বছরের নভেম্বরের শেষদিকে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় বাংলাদেশে বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এছাড়াও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় বাগেরহাটের ‘ঐতিহাসিক মসজিদের শহর’, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের নাম রয়েছে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর সচিব মঞ্জুর হোসেন শীতলপাটির এ স্বীকৃতির খবরটি জানান। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আলমগীর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।ইউনেস্কোর ওই তালিকায় শীতলপাটির পাশাপাশি বিশ্বের আরও আটটি ঐতিহ্যকে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ইউনেস্কোর ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ ইন নিড অব আর্জেন্ট সেফগার্ডিং তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৬টি ঐতিহ্য।
০৬ ডিসেম্বর ২০১৭,বুধবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/ইউনেস্কো/আসাবি