ক্রাইমবার্তা রিপোট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর নাতনী যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের মেম্বার টিউলিপ সিদ্দিকীকে কটূক্তি করে বক্তব্য দেয়ায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো: মাহমুদুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে নাটোরে রাষ্ট্রদ্রোহসহ এক হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম মালেক শেখ এবং সাপ্তাহিক বারবেলা পত্রিকার সম্পাদক অ্যাডভোকটে আলেক শেখ বাদী হয়ে নাটোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ বৃহস্পতিবার এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী দু’জনই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম অ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখের ছোট ভাই।
বৃহস্পতিবার বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী মামলটি গ্রহণ করে আগামী ৭ জানুয়ারীর মধ্যে নাটোর সদর থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে গত ১ ডিসেম্বর মো: মাহমুদুর রহমান শত শত সাধারণ মানুষ এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেছেন যে, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র নয়। শুধুমাত্র ভূ-খন্ড আর জনগণ থাকলেই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হয় না। বাংলাদেশ এখন ভারতের কলোনী, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমকে হত্যা করেছেন, কবর দিয়েছেন। প্রেসক্লাবে শেখ মুজিবের ম্যুরাল থাকেতে পারে? পারে না। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার, দিল্লীর তাঁবেদার সরকার, একটি রাষ্ট্রের চারটি স্তম্ভ থাকে, ১) পার্লামেন্ট ২) জুডিসিয়ারি ৩) এক্সিকিউটিভ ৪) গণমাধ্যম। উক্ত চারটি স্তম্ভেরই কবর রচনা করেছে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ নামের কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নাই। বাংলাদেশকে আর যাই বলা যাক রাষ্ট্র বলা যাবে না। জমি থাকতে পারে, জনগণ থাকতে পারে সার্বভৌমত্ব নাই।’
মামলার বাদীদ্বয় বলেছেন, এতে করে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আনুমানিক এক হাজার কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। বাদীগণ এই মামলায় প্রমাণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের সদস্য বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে করা কটূক্তির ইউটিউব-এ পরিবেশিত ভিডিও ক্লিপের ডাউনলোড করা সিডি এবং সাক্ষী হিসেবে কান্দিভিটুয়া এলাকার মৃত সফির উদ্দিনের ছেলে মো: হায়দার আলী এবং একই এলাকার মো: আব্দুল আলীমের ছেলে মো: সানা উল্লাহ ও কানাইখালী এলাকার মো: হুমায়ন কবির সজলের ছেলে মো: শুভকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে।
০৭ ডিসেম্বর ২০১৭,বৃহস্পতিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/নয়াদিগন্ত/আসাবি