ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: শাকিব খানকে দ্বিতীয় বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন অপু। অপু বলেন, প্রয়োজনে আমি আলাদা বাসায় থাকব। আমার মুখও তাকে দেখতে হবে না। যদি শাকিব চায় তাহলে প্রথম স্ত্রী হিসেবে আমি তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করার লিখিত অনুমতিও দেব।
তিনি বলেন, শুধু সে যেন আমাকে ডিভোর্স না দেয়। জয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে, তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শাকিবকে অনুরোধ করব সিদ্ধান্ত বদলের।বুধবার নায়িকা নিজেই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
অপু বললেন, তালাকের কাগজ হাতে পেয়েছি। এখন আমার পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। তবে সংবাদ সম্মেলন কবে করতে যাচ্ছেন এ বিষয়ে স্পষ্ট করেননি ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় এই নায়িকা।
জানা যায়, আইন অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ না নিলে কিংবা শাকিব নোটিশটি প্রত্যাহার না করলে ৯০ দিনের মাথায় বিচ্ছেদ হয়েই যাবে তাদের।
কিন্তু অপু বলেন, আমি চাই না শাকিব আমাকে আর জয়কে এমন বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলুক। আমি শাকিবের সব শর্ত মেনে সংসার করতে চাই। বিষয়টি আমার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ জয়ের জন্য।
আমি নিয়মিত রোজা রাখি: অপু ইসলাম খান
ঢাকা: শাকিব খানকে বিয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। নাম পাল্টে রাখেন অপু ইসলাম খান। অপু বলেন, মুসলিম হবার পর থেকে আমার মধ্যে ইসলাম নিয়ে অনেক বেশি কৌতূহল কাজ করতো। বিয়ের পর থেকেই আমি ইসলাম ধর্মের সকল বিষয় নিজে থেকে শিখতে শুরু করি। খুঁটিনাটি বিষয় আস্তে আস্তে জানার চেষ্টা করি। কিভাবে অজু করতে হয়, নামাজ পড়তে হয়ে, রোজা রাখতে হয় সবকিছু আয়ত্ত করতে থাকি। বই পড়েও আমার এক আত্মীয়ের সাহায্য নিয়ে সবকিছু শিখেছি।’
অপু এখন নিয়মিত রোজা রাখেন। খুব বেশি সমস্যা না হলে রোজা ভাঙেন না। তিনি বলেন, বিয়ের প্রথম বছর রোজার বিষয়টা বুঝতে সময় লেগেছিল। তাই প্রথম বছর রোজা রাখতে পারিনি। তবে বিয়ের এক বছর পর থেকে আমি নিয়মিত রোজা রাখি। সবগুলো না রাখতে পারলেও প্রতি বছর ২০টার উপর রোজা রাখার চেষ্টা করি।
রোজা রাখতে অপু বিশ্বাসের তেমন সমস্যা হয় না। কারণ, হিন্দু ধর্মের নিয়মানুসারে তিনি আগে নিয়মিত উপোস করতেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই অপু রোজা রাখতে পারেন। সাধারণত শুটিংয়ের কাজে বাইরে না থাকলে শাকিব-অপু একসঙ্গেই সাহরি ও ইফতার করেন। অপু বলনে, আমি সবসময় সাহরি রেডি করে বসে থাকি। কিন্তু শাকিব ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে। অনেক সময় টাইম না পাওয়ায় এক গ্লাস দুধ অথবা আম খেয়েই সে সাহরি করে।
রোজা নিয়ে তারকা এই দম্পতির রয়েছে বেশকিছু মজার অভিজ্ঞতা। যেহেতু অপুর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা এবং বিয়ের ব্যাপারটা আগে গোপন ছিল, তাই শুটিংয়ের সময় অপুর রোজা রাখতে বেশ সমস্যাই হতো। অপুর ভাষ্যে, রোজার সময় শুটিং থাকলে আমাকে একটু সমস্যায় পড়তে হতো। কারণ, সেটে একটু পরপর প্রডাকশনের লোকেরা খাবার নিয়ে আসতো। আর আমি নানা টালবাহানা করে তাদের ফিরিয়ে দিতাম। কিন্তু বলতে পারতাম না আমি রোজা।
একবার শুটিং সেটে দারুণ একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে আমার একটা সিকোয়েন্স ছিল যেটাতে আমাকে খাবার খেতে হবে। কিন্তু তখন আমি রোজা। সিকোয়েন্সটাতে শাকিবও ছিল। সুমন ভাই যখন আমাকে শট বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তখন শাকিব বলে উঠলো, সুমন এখন খাবার খাচ্ছে এটা কি আর দেখানো লাগে? খাচ্ছে এমন সিকোয়েন্স না নিয়ে, খেতে গিয়ে হাত থেকে খাবার পড়ে গেল সেটা নাও। সেটা বেশি ভালো হবে। ওর কথা শুনে আমি খুব হেসেছিলাম। শাকিব আমার রোজার কথা গোপন রাখতে সিকোয়েন্স পাল্টে দিল। পড়ে শাকিবের কথা মতোই শুটিং হলো।
০৮ ডিসেম্বর ২০১৭,শুক্রুবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/ ইন্টারনেট/আসাবি