ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:সাভারের এনাম হাসপাতালে বিল পরিশোধ করতে না পারায় মেয়ের লাশ দেখা হলো না বাবার। সেই সঙ্গে স্বজনদেরও দেখতে দেয়া হয়নি লাশটি।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত মুক্তা মনি (১৫) স্থানীয় অটোরিকশাচালক মো. মকসেদের মেয়ে এবং স্থানীয় রহিমউদ্দিন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আইসিইউতে রাখার নাম করে আরও ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করা হয়। এ সময় ওষুদের বিল বাবদ আরও ৭ হাজার টাকা আদায় করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওষুধের বিল পরিশোধ করার পর শুক্রবার দুপুরে স্বজনদের জানানো হয় মুক্তা মারা গেছে। এরপর স্বজনদের না জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তড়িঘড়ি করে লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ নিয়ে মুক্তার মা রেশমা বলেন, ধারদেনা করে ও আটো বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা এনাম মেডিকেলে দিই। কিন্তু বৃহস্পতিরার রাত থেকে তাদের কাউকে মেয়েকে দেখতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, মেয়েটি ভুল চিকিৎসায় রাতেই মারা যায়। কিন্তু মেয়ে ভালো হয়ে যাবে বলে এনামের ডাক্তাররা শুধু টাকা নেন। স্বজনরা তাকে দেখতে চাইলেও তাদের দেখতে দেয়া হয়নি। মৃত্যুর দু’দিন পার হয়ে গেলেও এখনও লাশ পায়নি স্বজনরা।
শনিবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই পড়ে আছে। তবে লাশ গ্রহণকারী সাভার থানার কনস্টেবল গোলাম নবী বলেন, রাতের মধ্যেই ময়নাতদন্ত শেষ হবে। পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে মরদেহ।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানা পুলিশের এসআই সুজায়াত জানান, এনাম মেডিকেল থেকে ডাক্তারি রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত মেয়েটি উকুন মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়।
এ বিষয় এনাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক সাইফুলের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, রোগীকে এক রাত আইসিইউতে রাখা হয়েছেলি তাই বিল ৩৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
মেয়ের বাবা ও স্বজনদের কেন লাশ দেখতে দেয়া হয়নি বা তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে- এ প্রশ্ন করলে তিনি তেলেবেগুনে রেগে ওঠেন এবং মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭,শনিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/
/আসাবি