অভয়নগরে মেম্বরের কেরামতি : সিদ্দিপাশায় ভাতার লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ : ইউএনও অফিসে সুরাহার আবেদন
বিশেষ প্রতিনিধি : অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধিসহ বিভিন্ন সরকারী ভাতার লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগি মুন্তাজ শেখ বাদী হয়ে অভয়নগর অভয়নগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে সুরাহার এক আবেদন করেছেন। যার রশিদ নং ৭৭৯। তারিখ ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রি.। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাউলী গ্রামের মৃত কালু শেখের ছেলে মুন্তাজ শেখ ২০১৬ অর্থ বছরে সমাজ সেবা অধিদপ্তর অভয়নগর কর্তৃক ২০-৪-২০১৭ তারিখে রফিকুল হায়দার স্বাক্ষরিত ৬০১ নং বইয়ে ভাতা প্রাপ্তি অনুমোদন লাভ করেও আজও পর্যন্ত বই হাতে পাইনি। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর হাফিজুর রহমান উক্ত বইটি আত্মগোপন করে। অবশেষে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তার কাছে গিয়ে ভাতার বই চাইলে ১৫-১১-২০১৭ তারিখে মুন্তাজ শেখের ছেলে মহব্বতের নিকট ১৫’শ টাকা দিয়ে বলেন, বইটা কাউকে দেখানো যাবে না। অথচ বইতে দেখা যায়, ৩ অগস্ট ২০১৭ তারিখে ৬ হাজার ও ৩ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে ১৩ নভেম্বর আরো ১৫’শ টাকাসহ সর্বমোট ১০ হাজার ৫’শ টাকা তোলা হয়েছে অথছ আমি কখনো ব্যাংকে যাইনি সইও করিনি। এ বিষয়ে হাফিজুর মেম্বররের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ব্যাংক থেকে যে, টাকা তোলা হয়েছে তা সে নিজে তুলেছেন। এবং উক্ত বই থেকে কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি। এদিকে বয়স্ক ভাতা বইতে দেখা যায়, হিসাব নং ০২০০০১০১৫৯৯৭০, বই নং ৬২১। উক্ত বইয়ে ৩০ জুন ২০১৭’তে ৫’শ টাকা, ৩ আগস্ট ২০১৭’তে ৬ হাজার টাকা ও ১৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে ১৫’শ টাকা টিপ সই দিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের কাছে ধু¤্রজাল তৈরি হয়েছে। ২০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ৬২১ নং বইটি সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল হায়দার স্বাক্ষরিত হলেও কী করে ১০ হাজার ৫’শ টাকা এই বইতে জমা হলো তা নিয়ে নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর উজ্জল হোসেন জানান, বইটি ৩০ জুন ২০১৬ তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে। তিনি (মুন্তাজ শেখ) অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, নতুন ভাতা ভূগি ৬২২ নং বই থেকে আনোয়ারা বেগমকে ১৫ নভেম্বর ১৫’শ টাকা, একই দিনে রশিদ শেখকে ১৫’শ টাকা, বিধবা ভাতা ভূগি আলেয়া বেগমকে ১৫’শ টাকা। বয়স্ক ভাতাধারী শশাধর ঠিকাদারকে ৫’শ টাকা ও নউলী নিবাসী প্রতিবন্ধী ভাতাভূগী মুসা শেখকে ১’হাজার টাকা হাফিজুর মেম্বর প্রদান করেছে। তাছাড়া দরখাস্তে আরো উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ৩০ জুনের পর থেকে বয়স্ক ভাতার ৪টি বই থেকে ৩৬ হাজার টাকা, বিধবা কার্ড থেকে ৫’হাজার টাকা, মৃত বইয়ের সমন্বয়ের নামে ৮০হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে গিয়ে একাধিক ব্যাক্তির কাছে জানতে চাইলে কেউই এর সত্যতা সম্পর্কে মুখ খুলতে চাইনি। এ বিষয়ে মুন্তাজ শেখের ছেলে মহব্বত (০১৭০৮-৭৯০৫৬৭) জানান, অর্থ আত্মসাতের আবেদন আমার বাবা করেছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবেদন প্রাপ্তীর কথা স্বীকার করে বলেছেন, ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সুরাহা বা পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৭,শনিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি