দেশের জনগণ আর একতরফা নির্বাচন করতে দেবে না: মির্জা ফখরুল

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:ঢাকা: দেশের জনগণ আর একতরফা নির্বাচন করতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সেই দিন শেষ হয়ে গেছে, জনগণকে আর ধোঁকা দিয়ে কেউ পার পাবে না। আওয়ামী লীগের সামনে একটাই পথ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। অন্যথা তারা পলায়নেরও রাস্তা খোঁজে পাবে না।শনিবার দুপুরে রাজধানীতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে বিএনপির শুক্রবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বলেন, জিয়া পরিবারের সম্পত্তি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের একদিন পর আজ শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অথচ বৃহস্পতিবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একটি অনলাইনকে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক বক্তব্য দেন, যার বেশিরভাগ আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। কারণ, তিনি অনেক সময় বক্তব্য দেন, যার রাজনৈতিক মূল্য আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।

এর আগেও মির্জা ফখরুল এমন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ছিলেন। ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া আইএসআই’র কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। গত ২৩ মার্চ, আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের এ বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইতে হবে, নইলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরে দিন ২৪ মার্চ ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এধনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন। গণভবনে সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া আমাকে কিসের জন্য ক্ষমা করেছেন? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরও আমি বেঁচে গিয়েছি, তিনি কি এ কথা বলছেন? তিনি ক্ষমা করেছেন নাকি চাচ্ছেন, তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তার কাছে কেন ক্ষমা চাইবো? আমি এমন কী অপরাধ করেছি? বরং তার উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

প্রসঙ্গত, গত ৯ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে চতুর্থ দিনের বক্তব্য দিতে গিয়ে আদালতকে খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না তিনি। প্রতিহিংসার রাজনীতিও করবেন না। শেখ হাসিনাকে তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন।

০৯ ডিসেম্বর ২০১৭,শনিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি

Check Also

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।