ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:রাজধানীর মৌচাকের ফরচুন মার্কেটে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার সময় ডিবির একটি দলকে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে।পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়েছেন।শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক ব্যবসায়ীকে ধরে নেয়ার সময় অন্য ব্যবসায়ীরা ডিবি সদস্যদের ঘেরাও করে রাখে।যে ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার নাম মাজহারুল ইসলাম ইরান।ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আসামি ধরার জন্য ওই মার্কেটে গিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ভুয়া পুলিশ মনে করে আটকে রাখেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৫-৬ জন লোক মার্কেটে প্রবেশ করে ব্যবসায়ী ইরানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।ব্যবসায়ী ইরানকে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকজন ও অন্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা নিজেদের ডিবির লোক বলে পরিচয় দেয়।কিন্তু এসময় তাদের গায়ে পুলিশের বা ডিবির পোশাক না থাকায় ব্যবসায়ী ও উপস্থিত লোক জনের ভুয়া ডিবি বলে সন্দেহ হয়। তাদের মাইক্রোবাসসহ ঘিরে ফেলে। ভুয়া ডিবি বলে স্লোগান দেয় জনতা। পুলিশ আসলে জানা যায় তারা আসল ডিবি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই শপিং মলের ‘ঐশ্বরিয়া শাড়ি বিতানের’ মালিক মাজরুল ইসলাম ইরানকে আটক করা হয়।
কী কারণে মাজরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে, এ ব্যাপারে তারা কিছু বলেননি। ডিবি পুলিশ পরিচয়ধারীদের কাছে তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হলেও ডিবি সদস্যরা তা দেখায়নি। আটকের কারণও জানায়নি।
এ কারণে ডিবি পুলিশের ওই গাড়িটি আটক করা হয়। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে রমনা থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসে মাজরুল ইসলাম ও ডিবি পুলিশ সদস্যদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।এসময় ডিবির সদস্যদের ধাওয়া দেয় স্থানীয় সাধারণ মানুষেরা। পরে পুলিশও সাধারণ মানুষকে ধাওয়া দেয়।ফরচুন শপিং মলের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘মাজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা, ওই দলটির কাছে আমরা এটা জানতে প্রশ্ন করি। তারা আমাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মাজরুল ইসলামকে ধরে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় সাধারণ মানুষ তাদের আটকে রাখে।’
সমিতির অর্থ সম্পাদক ফেরদৌস খান বলেন, ‘দলটিতে ৬-৭ জন ছিল। তাদের পরনে ডিবি পুলিশের পোশাক, ওয়াকিটকি বা অস্ত্র কিছুই ছিল না। তাদের এ অবস্থায় দেখে সাধারণ মানুষের সন্দেহ হয় এবং ওই ঘটনা ঘটে।’
রাত ১১টার দিকে রমনা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া উইংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।’
ডিবি দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘এ ধরনের একটা ঘটনার কথা শুনেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
১০ ডিসেম্বর ২০১৭,রবিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি