ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:নির্বাচনী হলফনামায় অসত্য তথ্য দেয়ায় ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সূত্র জানায়, দুদকের সচিব মো. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত চিঠিটি গত ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য মুক্তি নির্বাচন কমিশনে হলফনামার মাধ্যমে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদ কম দেখিয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামার মাধ্যমে আট তথ্য জমা দেন জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তি। সেখানে তিনি তার স্থাবর ও অস্থাবর মিলে মোট সাড়ে চার লাখ টাকার সম্পত্তি আছে বলে উল্লেখ করেন।
কিন্তু দুদক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে সম্পদের হিসাব দেয়ার আগে গত ৩০ জুন ২০১৩ সালে উপ কর অঞ্চল সার্কেল-৬ (মুক্তাগাছা) এ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ চার হাজার বলে উল্লেখ করেন। তা ছাড়া এমপি মুক্তি তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া তিন লাখ টাকার সম্পদের তথ্যও নির্বাচন কমিশন এবং আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। দুদক এ ধরনের অসত্য হলফনামা দাখিলকে নৈতিকতা পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে।
এ প্রসঙ্গে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা চিঠি পেয়েছি। এটা আমরা কমিশনে উপস্থাপন করবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির আইন শাখার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, সম্পদ নিয়ে হলফনামায় এমপি মুক্তির অসত্য তথ্য দেয়ার বিষয়ে এ মুহূর্তে ইসির করণীয় কিছু নেই। আগেও এ ধরনের কয়েকজন এমপির বিষয়ে কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। বিষয়টি দুদক তদন্ত করে প্রয়োজন হলে মামলা করবে। আদালতের বিষয় শেষ করে এরপর সাজা হলেই কমিশনের করণীয় কিছু থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন (আরপিও) অনুযায়ী, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ভোটের আগে এই তথ্য প্রমাণ হলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। আর ভোটের পর কোনো তথ্যের অমিল পেলে সংশ্লিষ্ট এমপি পদ বাতিল করতে পারে। এ জন্য এমপি পদ বাতিল করে তা স্পিকারের দপ্তরে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। এরপর সংসদ সচিবালয় ওই আসন শূন্য ঘোষণা করতে পারে।
১০ ডিসেম্বর ২০১৭,রবিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/dailynayadiganta/আসাবি