গত রোববার রাতে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় রাতেই সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত ছাত্রীর মা। সোমবার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।
স্থানীয়রা জানান, নির্যাতিতা ছাত্রীকে নাশতা খাওয়ানোর জন্য ওই বসতঘরে নিয়ে যায় কীর্তনে আসা একই এলাকার তার বিদ্যালয়ের বান্ধবী। বাদল দাসের খালি বসতঘরে ওই দুই ছাত্রীকে পেয়ে একজনকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মলয় চন্দ। এ সময় অপর ছাত্রী দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে চিৎকার করলে স্থানীয়রা মলয় চন্দকে হাতেনাতে আটক করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সুজাতা রাণী রায় বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই। স্থানীয়রা মলয়ের ব্যাপারে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্যাতিত ছাত্রী আমাদের হেফাজতে আছে, শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
১১ ডিসেম্বর ২০১৭,সোমবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/মানব জমিন/আসাবি