আমাদের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ

আবুল আসাদ : পঁচিশে মার্চে পাক-বাহিনীর সামরিক আগ্রাসনের পর সৈনিক (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট), ইপিআর, পুলিশ ও আনসাররা কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, নির্দেশ ও সমন্বয় ছাড়াই যে যার মতো লড়াই করছিলেন। যোগাযোগ ও সমন্বয়ের প্রয়োজন তারা অনুভব করলেন। তাজউদ্দীন যখন দিল্লীতে স্বাধীন বাংলা সরকার গঠন নিয়ে ব্যস্ত, তখন ৪ঠা এপ্রিল আপন তাকিদেই সেনা অফিসাররা একত্রিত হলেন সিলেট জেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে। এ বৈঠকে ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত কর্নেল (অব.) ওসমানি, লেঃ কর্নেল আব্দুর রব, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর সফিউল্লাহ, মেজর কাজী নূরুজ্জামান, মেজর নূরুল ইসলাম, মেজর মমিন চৌধুরী এবং আরো কয়েকজন। আলাপ-আলোচনার পর পরিস্থিতির দাবি অনুসারে তারা সমস্ত বিদ্রোহী ইউনিটের সমবায়ে সম্মিলিত মুক্তি ফৌজ গঠন করলেন এবং কর্নেল ওসমানিকে তা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হলো। ১ ভারী অস্ত্রশস্ত্র আর গোলা-বারুদের অভাব মেটাবার জন্যে অবিলম্বে ভারতের শরণাপন্ন হবার সিদ্ধান্ত  গৃহীত হলো এবং বিদেশ থেকে সমর সম্ভার সংগ্রহ করার জন্যে রাজনীতিকদের সমবায়ে যথাশীঘ্র স্বাধীন সরকার গঠনের আবশ্যকতাও তারা অনুভব করলেন।
এভাবে তারা জাতির স্বার্থকেই বড় করে দেখায় কে কিভাবে সরকার গঠন করলো সেদিকে তারা নজর দেননি। তাজউদ্দীনের সরকার গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল চললেও, তাজউদ্দীনের সরকারকে মেনে নিতে কিন্তু কমান্ডাররা দ্বিধা করেনি। তাজউদ্দীনের সরকার ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন এদিন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নীতি নির্ধারণী বিবৃতি দিলেন এবং পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। যুদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সংসদ সদস্য জেনারেল ওসমানিকে সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করা হলো এবং বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে প্রত্যেক সেক্টরের জন্যে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হলো। মেজর রফিক-উল-ইসলাম, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর সফিউল্লাহ, মেজর সি আর দত্ত, মেজর শওকত আলী, বিমান বাহিনীর এম কে বাশার, মেজর কাজী নূরুজ্জামান, মেজর এম এ মঞ্জুর, মেজর এম এ জলিল, মেজর এম এ তাহের এবং মেজর জিয়াউর রহমান- এ এগারজনকে এগারটি সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হলো। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ একটা সুসংবদ্ধ রূপ পরিগ্রহ করলো।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ কার্যকরি রূপ পরিগ্রহ করতে সময় লাগে। ২৬ মার্চ থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের প্রথম যে পর্যায় এ সময় ভারত কার্যত কোনো সাহায্য করেনি। আমাদের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশরা এবং তাদের হাতে তৈরি মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হাতে যা ছিল তাই নিয়ে লড়াই চালায়। মে মাস ছিল নিদারুণ হাতাশার। এ হতাশাব্যঞ্জক অবস্থা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলো। ৩০ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করার দায়িত্ব ভারতীয় সশস্ত্র  বাহিনীর হাতে অর্পণ করে। আর ৯ মে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সশস্ত্র ট্রেনিং দেয়ার দায়িত্ব তাদের হাতেই অর্পিত হলো। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধ নতুন প্রাণ পেল। আগের চেয়ে অবস্থার অনেক উন্নতি ঘটলো। কিন্তু বাংলাদেশ দিল্লীর কাছে যে সর্বাত্মক সাহায্য চাচ্ছিল তা পেল না। ভারত বাংলাদেশ সরকারকে তখনও স্বীকৃতি দেয়নি। একটা রাজনৈতিক সমাধান হয়ে যায় কিনা, পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে ভারত একা পড়ে যায় কিনা ইত্যাদি চিন্তা ভারতকে দ্বিধাগ্রস্ত করছিল। ভারতের এ দ্বিধাগ্রস্ততার কারণে মুক্তিবাহিনীর প্রয়োজনীয় শক্তি বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
এ অবস্থায় স্বাধীনতা যুদ্ধকে তীব্রতর করার জন্যে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলো। এ সময় আগস্ট মাসে ভারত-সোভিয়েতের মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মস্কো সফরের প্রোগ্রাম স্থির হলো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সোভিয়েত সাহায্য নিশ্চিত করার জন্যে ইন্দিরার মস্কো সফরের আগে বামপন্থীদেরকে একটা ‘উপদেষ্টা কমিটির নামে মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে শামিল হবার সুযোগ দেয়া হলো। অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মী ছাড়া অন্য কোনো দলের লোক নেয়া হতো না। ন্যাপ, সিপিবির লোকদেরকেও নয়। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে ন্যাপ, সিপিবির উপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিধি-নিষেধ উঠে যায়। এ উদ্দেশ্যে দিল্লী থেকে ডিপি ধর (D.P. Dhar) আওয়ামী লীগের স্বাধীন বাংলা সরকারকে রাজি করার জন্যে কলকাতা আসেন।২ তবে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে মুক্তিবাহিনীতে NAP-CPB কর্মীদের রিক্রুট যথাসম্ভব সন্তর্পণে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর মস্কো সফর করেন। তিন সোভিয়েত নেতা-ব্রেজনেভ, পোদগর্নি ও কোসিগিনের সাথে তার ছ ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ বৈঠক হলো। এ বৈঠক সোভিয়েত ইউনিয়নকে সর্বাত্মকভাবে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড় করাল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করলো। পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে একা হওয়ার যে ভয় ভারত এতোদিন করছিল, তা এবার উবে গেল।
মুক্তিযুদ্ধকে সবদিক থেকে শক্তিশালী ও ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নেয়া হলো। ভারত ও সোভিয়েত ব্লকের মিলিত উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থনের একটা ভিত্তি রচনা করলো। সোভিয়েত ভেটো এবং সমর্থনের কারণেই যুদ্ধ বিরতি করে শেষ রক্ষার পাকিস্তান-মার্কিন উদ্যোগ ব্যর্থতা বরণ করে। অভ্যন্তরীণভাবেও মুক্তিযুদ্ধকে জোরদার করে তোলা হলো। সেপ্টেম্বর থেকেই মাসে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়। নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা মুক্তিযুদ্ধকে তীব্রতর করে তোলে। ‘পরবর্তী সাত সপ্তাহ ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরবচ্ছিন্ন তৎপরতা এবং ভারত ও বাংলাদেশের মিলিত বাহিনীর তীব্রতর সীমান্ত চাপের ফলে সর্বাত্মক যুদ্ধ হওয়ার পূর্বেই পাকিস্তানি বাহিনী বিরামহীন তৎপরতার ভারে পরিশ্রান্ত, বৈরী পরিবেশ ও অতর্কিত গোপন আক্রমণের ভয়ে শঙ্কিত, দীর্ঘ সীমান্ত জুড়ে বিস্তৃত হওয়ার ফলে দুর্বল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউনিটে বিভক্ত এবং স্বচ্ছ রাজনৈতিক লক্ষ্য ও সামরিক সাফল্যের অভাবে হতোদ্যম হয়ে পড়েছিল।”৩ অবশেষে এলো ৩রা ডিসেম্বর। অতিষ্ঠ, অধৈর্য পাকিস্তান ৩রা ডিসেম্বর ভারতকে আক্রমণ করে বসলো। বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষা পূরণ করে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের যুদ্ধকে ভারত ভারতের যুদ্ধ বলে ঘোষণা করলো। শুরু হয়ে গেলো যুদ্ধ। ভারত এটাই কামনা করছিল। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW-এর মূল্যায়ন ছিল, সময় ক্ষেপণ কৌশলের মাধ্যমে মুক্তিবাহিনীকে আরও ভালো অবস্থায় আনা যাবে, কিন্তু পাক বাহিনীকে তাদের দ্বারা কাবু করা যাবে না। ভারতের  সামরিক পদক্ষেপ তাই  যৌক্তিক দাবি।৪ ইয়াহিয়া ভারতের এ যৌক্তিক দাবি পূরণের ব্যবস্থা করলেন ভারত আক্রমণ করে।  এভাবে যে যুদ্ধ শুরু হলো, তা ভারতকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চালকের আসনে বমাল, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডারগণ একান্তভাবেই কামনা করেননি।৫ তারপরের ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত। মুক্তিবাহিনী এবং আমাদের জানবাজ কমান্ডাররা মাসের পর মাস ধরে যে ফসলের বীজ বপন করেছিলো, তার পথ ধরে ভারতীয় বাহিনী ছুটে এলো ঢাকার দিকে। Asoka Raina তাঁর গ্রন্থে এই শেষ অংশটাকে এভাবে তুলে ধরেছেন : ‘‘ঘটনা দ্রুত গড়িয়ে চললো। পাকিস্তানী প্রতিরোধের দ্বীপগুলো এড়িয়ে ভারতীয় বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হলো ঢাকার দিকে। ভারতীয় RAW এজেন্টদের পরিবেশিত তথ্যের ভিত্তিতেই পাকিস্তানী প্রতিরোধ বাহিনীর চোখে ধুলা দিয়ে এভাবে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়েছিলো। পাকিস্তানীরা অনেক জায়গায় তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। কিন্তু মুক্তিবাহিনীর দ্বারা নাজেহাল হয়ে এবং ভারতীয় বাহিনীর অব্যাহত সাফল্যে তারা হতোদ্যম হয়ে পড়েছিলো। ঢাকা ও তার আশপাশের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ পাকিস্তানী ইস্টার্ন কমান্ডকে স্থবির করে দিয়েছিলো এবং এখান থেকে সৈন্যরা কোনো নির্দেশনাই পাচ্ছিল না।
জাতিসংঘে পাকিস্তানী প্রতিনিধিরা যখন যুদ্ধ বিরতির চেষ্টা করেছিলো, ভারত তখন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার উপর চূড়ান্ত আঘাতের জন্যে তৈরি হচ্ছিল। এ সময় ভারতীয় গোয়েন্দারা একটা বেতার বার্তা ধরে ফেলে, যা ঢাকার উপর চূড়ান্ত আঘাত এবং পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পণের নিমিত্ত হয়ে দাঁড়ায়। সেই বেতার বার্তাটি ছিলো এই: ‘আমরা দুপুর ১২টায় গবর্নর হাউজে বৈঠকে বসছি।’ এ বার্তা থেকে এটা ধরে নেয়া হলো, একটা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেখানে   অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকটি বানচাল করার পরিকল্পনা নেয়া হলো। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো ভারতীয় বিমানবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড বোমা বর্ষণের লক্ষ্যস্থল গবর্নর হাউজের অবস্থান চিহ্নিত করতে পারছিলো না। বিমান ও সেনাবাহিনী হেড কোয়ার্টারে সকল দৌড়াদৌড়ি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। বয়ে যাচ্ছিলো সময়। বিষয়টা অন্য সংস্থার কাছে পাঠানো হলো। RAW-এর যেসব এজেন্ট ঢাকায় কাজ করছিলো দ্রুত তাদের একটি মিটিং ডাকা হলো। এ এজেন্টরা ২৫ মার্চ রাতে সেনা অভিযানের পূর্বক্ষণে ঢাকা ত্যাগ করেছিলো। এ এজেন্টদের মধ্যে একজন তার কাছে অবশিষ্ট ঢাকার একটা পর্যটন ম্যাপ মাত্র দিতে পারলো। ম্যাপটার অবস্থা ছিলো খুব খারাপ। তবু কোনো রকমে তাকে ভিত্তি হিসেবে নিয়ে আকাশ থেকে দেখা যায়, এমন একটা ভূমি চিহ্ন নির্দিষ্ট করে গবর্নর হাউজকে চিহ্নিত করা হলো। RAW-এর   তৈরি এ নির্দেশনা ম্যাপটি বিমান বাহিনীর পাইলটের হাতে পৌঁছানো হলো।…. ভারতীয় বিমান বাহিনীর হান্টার বিমান বোমা বোঝাই করে বেলা ১২টার দিকে কোলকাতা থেকে আকাশে উড়লো। বোমা ফেলা হলো।
পরে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছিলো, গবর্নর মালিক দৌড়ে নেমে গিয়েছিলেন ভূ-গর্ভস্থ বাংকারে। নামাজ পড়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে তাঁর মন্ত্রিসভার সহযোগীদের সমেত তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।৬ তারপর রেডক্রসের নিয়ন্ত্রণাধীন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখন পাকিস্তান সরকারের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সামরিক প্রশাসক জেনারেল নিয়াজীর উপর যুদ্ধ পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব গিয়ে পড়লো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তখন প্রায় শেষ। এর দু’দিন পর নিয়াজী আত্মসমর্পণ করলেন। আর স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হলো।৭
১৬ই ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে  চারটায় জেনারেল নিয়াজী রেসকোর্স ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর আত্মসমর্পণের দলিল ভারতীয় জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার হাতে তুলে দিলেন। আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করলেন জেনারেল নিয়াজী এবং জেনারেল অরোরা।
তথ্যসূত্র:
১। চার মাস পরে অর্থাৎ জুলাই মাসের শেষে ‘মুক্তি ফৌজ’ নাম বদলিয়ে ‘মুক্তি বাহিনী’ করা হয়।
২। মূলধারা ৭১ মঈদুল হাসান, পৃষ্ঠা ১০৬-১০৮।
৩। মূলধারা, ’৭১, পৃষ্ঠা-১৯৭।
৪। These delay tacties only gave the growing Mukti Bahini more time to reorganise. RAW estimates clery indicated that in spite of Mukti Bahini’s growing strength, It would be unable to take on the Pakistan army over a long period, Military action was the only logical solution. Yahya provided the answer on December 3rd at 5-30 PM.” Inside RAW: The Story of India’s Secret Service.” Asoka Raina, Page-58
৫। ‘একাত্তরের রণাঙ্গন’ বইতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তৎকালীন মেজর শওকত বলেন, যে কোনো যুদ্ধে গেরিলা রণ-কৌশল চালিয়ে একটি সৈন্য দলকে যদি আপনি দুর্বল করে ফেলেন, তাহলে জয় আপনার অবশ্যম্ভাবী। ধরুন, পাকিস্তানীরা যুদ্ধ করেছিলো বাংলাদেশে, প্রত্যক বাঙালি তাদের শত্রু ছিলো। এ অবস্থায় আর কয়েক মাস পর পাকিস্তানী বাহিনী এমনিতেই আত্মসমর্পণ করতো। ভারতীয় সেনাবাহিনী সাহায্য করলো কি না করলো তাতে কিছুই যেতো-আসতো না। এটাই আমাদের জন্যে দুর্ভাগ্যজনক যে, ডিসেম্বর, ’৭১-এ আমরা চাইনি ভারতীয় বাহিনী আমাদের পক্ষে পাকিস্তানীদের উপর আক্রমণ পরিচালনা করুক। আমরা চেয়েছি, আমরা আরো কিছুদিন লাগতো না হয়, যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করবো। ভারতীয় বাহিনী এলো কেন?- একাত্তরের রণাঙ্গন, পৃষ্ঠা- ১৯৩
৬। “Mr. A. M Malik, the Governor wrote the draft of his cabinet resignation letter to the President Yahya with shaking ball point on a scrap of office paper as the Indian MIG-21s destroyed his official residence… All morning Mr. Malik and his cabinet had been unable to decide whether to resign or hang on. The Indian air raids finally decided him… The resignation effectively throws all responsibility for a last-ditch stand on the East Pakistan Army Commander Lt. Gen A.A.K. Niazi who yesterday vowed to fight to the last man. “The Times. Dec. 15. ‘71.
৭। ‘Inside RAW : The Story of India’s Secret Service.’ Page-60-61

১৬ ডসিম্বের২০১৭,শনিবার:ক্রাইমর্বাতাডটকম/sangram/আসাবি

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।