বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেছেন, গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করে সরকার দেশে একদলীয় শাসন প্রবর্তনের সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে। তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্র পুরোপুরিভাবে নির্বাসিত। মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না, সাংবাদিকরা সাহস করে লেখতে পারে না। মানুষের যে ব্যক্তিগত যে নিরাপত্তা সেটাও আজকে চলে গেছে। সরকার আমাদেরকে শাসন করছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং অনৈতিকভাবে। শনিবার মহান বিজয় দিবসের দিন সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে দুপুরে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করবার জন্য সকল ব্যবস্থা প্রায় পাকাপোক্ত করেছে। কিন্তু জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা শপথ নিয়েছি যে, গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছি সেই সংগ্রাম আমাদের অব্যাহত থাকবে, লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং দুপুরে শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান খালেদা জিয়া সহ বিএনপির নেতবৃন্দ। এসময় দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মীর সরফত আলী সপু, মোহাম্মদ ফিরোজ উজ্জামান মামুন মোল্লা, জাসাস সভাপতি ড. অধ্যাপক মামুন আহমেদ, জাসাস নেতা হেলাল খান, শায়রুল কবির খান, রাজীব আহসান সহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বরাবরই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি। সেই ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ৯০ পর্যন্ত আমরা দেশনেত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। তার আপোসহীন নেতৃত্বের কারণে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম। পরবর্তিকালে ১/১১ এর অবৈধ-বেআইনি সরকার আসার পরে দেশনেত্রীর যে দৃঢ়তা তার কারণে কিছুটা হলেও আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলাম। এই সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পুনপ্রবর্তনের কাজ শুরু করেছিলো, আজকে সেটা তারা পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। আমরা গণতান্ত্রিক লড়াই করছি, গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে যা করা দরকার তার চেয়ে আমরা বেশি করছি। গত ৮ বছরে সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গুম-খুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতো কিছুর পরও আমরা গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করছি, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের সংগ্রাম চলছে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখান করবে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হয়, যদি তারা সরকার থেকে সরে দাঁড়ায়, যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয় তাহলে জনগণই প্রমাণ করবে তারা কাকে চায়? জনগণ যে রায় দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেবো।
Check Also
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে : অ্যাটর্নি জেনারেল
র্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল …