মহান বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গতকাল শনিবার রাজধানীসহ দেশব্যাপী আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, মহান মুক্তিসংগ্রাম ও বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এই অর্জন কোন দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির অর্জন ছিল না বরং  তা ছিল দলমত, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের কাক্সিক্ষত সাফল্য। তাই মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীরদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও মহান বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করতে হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।

রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, আশরাফুল আলম ও ছাত্রনেতা গোলাম মর্তুজা প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, অনেক ত্যাগ-কোরবানী ও রক্তের বিনিময়ে গণমানুষের বিজয়ের আকাক্সক্ষা বাস্তবরূপ লাভ করেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এই জনপদের মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তারা যুদ্ধ করেছেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ও পাকিস্তানের জালিম শাসকদের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার সংগ্রামের এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব শহীদ সিরাজউদ্দৌলা, শহীদ মীর নিসার আলী তিতুমীর, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেক মহান নেতা। মূলত স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও কঠিন হলো স্বাধীনতা রক্ষা এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের বিভেদের রাজনীতির কারণে আমরা আজও সে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি।

তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক, সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সমাজই স্বাধীনতার ইপ্সিত লক্ষ্য। কিন্তু মহল বিশেষের ক্ষমতালিপ্সা, অপরাজনীতি ও অহমিকার কারণে সে প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে যখন পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করা উচিত ছিল তখন ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য তাদের সকল শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়েছে। তারা সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। মাত্র ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ব পত্রিকা বাদে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তদানীন্তন সরকার এই এ্যাক্ট পাসের আগেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে আসছিলো। ১৯৭৩ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক গণকণ্ঠ সম্পাদক আল মাহমুদ অভিযোগ করেছিলেন, ‘গণকন্ঠ অত্যন্ত বেআইনিভাবে বন্ধ করিয়া দেওয়ার ফলে তথাকার পৌনে তিনশ’ সাংবাদিক ও কর্মচারী বেকার হইয়া পড়িয়াছেন। সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মুহূর্ত মাত্র সময় না দিয়া অফিস হইতে কাজ অসমাপ্ত রাখা অবস্থায় বাহির করিয়া দেয়া হইয়াছে’। যা ছিল মহান স্বাধীনতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড জনজীবনকে আতঙ্কগ্রস্ত করে রেখেছে। রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হলেও সরকার জনগণকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমনকি রাজনৈতিক দলের ঘরোয়া বৈঠকগুলোকে কথিত গোপন বৈঠক আখ্যা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় বয়োবৃদ্ধ রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ সহ জামায়াতের শীর্ষনেতাদের ঘরোয়া বৈঠক থেকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় রিমান্ডের নামে তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। যা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি সরকারকে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে আমীরে জামায়াতসহ শীর্ষনেতাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মহানগরী দক্ষিণের আমীর (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোআ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য এডভোকেট জসীম উদ্দিন তালুকদার, মজলিসে শূরা সদস্য শামীমুল বারি, জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম, আবুবকর সিদ্দিক ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুল আলম ইমন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ড. হেলাল সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্য মহান স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হলেও প্রতিহিংসা ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। দল-মত, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে মুলত সুখী, সমৃদ্ধ ও সপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে সকলকে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ও বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তিনি আরোও বলেন, মহান বিজয় দিবসের এই দিনে জাতি গর্বিত ও আনন্দিত। কিন্তু সরকারের অপ-রাজনীতি ও ভ্রান্ত নীতির কারণেই সে আনন্দ আজ অনেকটাই ম্লান। বর্তমান সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার কথা বললেও তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে আমাদের সার্বভৌমত্ত আজ হুমকির সম্মুখিন। সীমান্তে নিয়মিত ফেলানীদের লাশ ঝুলছে, রোহিঙ্গা সংকট মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে পেয়াজ সহ নিত্য পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছে। অথচ সরকার এর কোন সমাধান করতে পারছে না। স্বাধীনতার মূল চেতনা হলো গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, ইসলামী মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার হলেও আজ এসব সম্পূর্নভাবে উপেক্ষিত এবং বিজয়ের আনন্দকে কলঙ্কিত ও মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত করছে।

ড. হেলাল আরোও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। সরকার মানুষের সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করে গণনির্যাতন চালিয়ে দেশকে নরকে পরিণত করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে বিকিয়ে দেয়ার জন্যই আওয়ামী সরকার জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটক রেখেছে। এ দেশের জনগণ জীবন দিয়ে হলেও সরকারের দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখবে। অবিলম্বে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশ-জাতির সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় জামায়াতের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নিউমার্কেট : নিউমার্কেট থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর মাওলানা মহ্বিŸুল হক ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোআ মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট বদরুল আলম, শাহিন শিকদার, এডভোকেট জামীল খান, এডভোকেট এল ইউ মাজেদ, কাজী আজিজুল হক সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

চকবাজার : চকবাজার থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মুরাদ খান শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোআ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা আমীর মুহাম্মদ আল আমীন। দোআ পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর কাদের। আরোও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মু. আব্দুর রহমান, মুরাদ হোসেন, আবু হানিফ, জহির আহম্মদ, মাওলানা মোহাম্মাদ মোকসেদ উল্লাহ, আব্দুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

খিলগাঁও : খিলগাঁও থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগরী দক্ষিণেরর মজলিসে শূরা সদস্য মোহাম্মদ আবু সালেহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা সেক্রেটারি এস এম জুয়েল, আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ সারোয়ার, মোহাম্মদ শিবলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

শাহজাহানপুর : শাহজাহানপুর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মুহসিনুল কবির, সারোয়ার জাহান, মাহমুদুর রহমান, আব্দুল আওয়াল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

যাত্রাবাড়ী পশ্চিমঃ যাত্রাবাড়ী পশ্চিম থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত নেতা নাহিদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাদেক বিল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন থানা নায়েবে আমীর এমদাদুল হক। আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মুনির হোসাইন, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ধানমন্ডিঃ ধানমন্ডি থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর এডভোকেট জসিম উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে আবু সাদাত মো: আলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা সেলিমুর রহমান, মারুল আলম প্রমুখ।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিভিন্ন থানায় সভা

রামপুরা থানা: রামপুরা থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীরের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি এইচ ঈমামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুল হালিম, এফ এ ফজলু, মনিরুজ্জামান শামীম, হারুন, শওকত ও মুজাহিদ প্রমুখ।

বিমানবন্দর থানা: বিমানবন্দর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভাপতি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি এম এ হক মোল্লা, জামায়াত নেতা কে এম সাব্বির সওদাগর, মো. শামীম হোসেন, আলী হোসেন মোরাদ, মুজিবুর রহমান ও আব্দুল লতিফ প্রমুখ।

গুলশান থানা: গুলশান থানার উদ্যোগে থানা আমীর আমিনুর রহমান মনিরের তত্ত্বাবধানে ১৮ পশ্চিম ওয়ার্ডের উদ্যোগে দিনব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশী তেমন সাজো, কবিতা আবৃতি, দেশাত্ববোধক সঙ্গীত, কুরআন তেলাওয়াত, মার্বেল দৌড়, হাড়িভাঙ্গা, ছোট গোল, বালিশ খেলা সহ বিভিন্ন ইভেন্টে শতাধিক প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্ককার বিতরণ করা হয়। সমন্বয়ক নাজমুল হক সুমনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা হোসাইন বিন মানসুর, হাসনাইন আমিন রাসেল, জানে আলম রাজন, ইউসুফ প্রধান, মিজানুর রহমান সেলিম ও তৌহিদুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ। এছাড়াও ১৯ দক্ষিণ ওয়ার্ডের উদ্যোগে জামায়াত নেতা মু. ওসমান জামানের উপস্থিতিতে শিশু-কিশোরদের মধ্যে জাতীয় পতাকা বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়। শেরেবাংলানগর থানায়ও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামী।

গতকাল সকালে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র জাতির অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

সভা শেষে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের মাগফিরাতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।

কুমিল্লা অফিস : ঊাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরী উদ্যাগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় কুমিল্লা নগরীর এক মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মাষ্টার আমিনুল হক,নগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন,সহকারী সেক্রেটারী মাহ্বুবর রহমান।

জামায়াত নেতা মোহাম্মদ হোসাঈনের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম,নাছির আহম্মেদ মোল্লা,কামাল হোসাইনসহ আরো অনেকে।

 

ফরিদপুর সংবাদদাতা ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর পৌরসভা শাখার উদ্দ্যেগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

গতকাল শনিবার বাদ আছর স্থানীয় জামায়াত অফিসে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌরসভা শাখার সম্মানিত আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শূরার সদস্য ফরিদপুর জেলা জামায়াতের আমীর প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরসভা নায়েবে আমির এস.এম.আবুল বাশার, মোঃ ফারুখ হোসেন, মাওঃ রফিকুল ইসলাম খান, প্রফেসর বেলাল ফরিদপুর শহর শাখা শিবির সেক্রেটারী মোঃ হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কুরআন সুন্নাহর আলোকে দেশ পরিচালিত হলেই আমরা পাব প্রকৃত স্বাধীনতা । যতদিন আমরা আল্লাহর দেয়া বিধান এদেশে চালু করতে না পারব ততদিন স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করা সম্ভব নয়। জালিম শাহী সরকারের অবৈধ শাষনের হাত হতে রক্ষা পেতে আমাদের কাজ আরও বেগবান করতে হবে। ইসলাম প্রিয় জনতাকে একতাবদ্ধ করার জন্য সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের জমিনে সর্বাত্মক ত্যাগ স্বীকাররের মাধ্যমে ময়দানে ইসলামের বিজয় অর্জনের পথ সুগম করতে আহ্বান জানানো হয়।

সিলেট : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগরীর নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন বলেছেন- ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস জাতির জন্য এক গৌরবোজ্জল প্রেরণার দিন। একাত্তরের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নেয়। আমাদের বিজয়ের চেতনা ঐক্যের। কিন্তু একটা গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে স্বাধীনতার পক্ষের-বিপক্ষের শক্তির ধুয়া তুলে জাতিকে বিভক্ত করতে চায়। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবেনা।

তিনি গতকাল ১৬ ডিসেম্বর শনিবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ড. নুরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো: ফখরুল ইসলাম, অফিস সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত ও মু. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ফেনী সংবাদদাতা : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার ফেনী শহরের একটি অডিটোরিয়ামে ফেনী শহর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও ফেনী জেলা আমীর একেএম শামছুদ্দীন। শহর আমীর মুফতী মাওলানা আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও শহর সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শহর নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল ওহাব ভূঁইয়া, ১০নং ওয়ার্ড সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মুনাজাত করা হয়।

জয়পুরহাট সংবাদদাতা : জয়পুরহাট শহর জামায়াতের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস-২০১৭ যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভাও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াত আমীর ডা: ফজলু রহমান সাঈদ,সাবেক জেলা নায়েবে আমীর আতাউর রহমান, শহর জামায়াত আমীর হাসিবুল আলম,শ্রমিক নেতা আব্দুল হাদী,হারুনুর রশিদ,আব্দুর রউফ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে  মোনাজাত  পরিচালনা করেন জেলা জামায়াত আমীর ডা: ফজলু রহমান সাঈদ।

Check Also

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে : অ্যাটর্নি জেনারেল

র্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।