ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবার রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের আপামোর জনতা দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময় ১৯৭১ সালে এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেছিল এ জাতিকে। ফলে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ, সেই সকল শহীদের স্বরনে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী আধা-সরকারী বে-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট, বাসভবন সহ সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি সূচনা করা, পরে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন অতিথিদের নিয়ে বেলুন ও শান্তির প্রতিক কবুতর উড়িয়ে মহান বিজয় দিবস আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, এক আসনের সংসদ সদস্য এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রিফাত আমিন, পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত, পুলিশ বিএনসিসি আনসার রোভার, স্কাউট, গালর্স গাইড ও শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএনএম মঈনুল ইসলাম, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুদেব বিশ্বাস, সিভিল সার্জন ডাঃ তওহীদুর রহমান স্থানীয় সরকার বিভাগের ডিডি আব্দুল লতিফা খান, অতিঃ জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন, অতিঃ পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোশারাফ হোসেন মশু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে স্টেডিয়াম ভবনে রক্তদান কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়। সাড়ে দশটায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ শহিদ আব্দুর রাজ্জাকের মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেলা ১১টায় পৌর দীঘীতে সাঁতার ও হাসধরা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের ডিডি আব্দুল লতিফ খান, অতিঃ জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন, অতিঃ পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক পৌর প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা বৃদ্ধাশ্রম এতিমখানা, শিশু পরিবার এর মাঝে উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করা হয়। বাদ জোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদ সহ জেলার সকল মসজিদ মন্দির গীর্জা,প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয় সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির আলোচনা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আত্মদানকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিকালে স্টেডিয়ামে প্রদর্শনী ভলিবল ও কাবাডি খেলা সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মহিলাদের অংশগ্রহনে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা ও স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা দলের মধ্যে সৌখিন ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় খুলনা রোড মোড়, নিউমার্কেট, ও আব্দুর রাজ্জাক পার্কে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ শহিদ মিনার পুরস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি সমাপ্ত করা হয়।
১৭ডিসেম্বর,২০১৭,রবিবারক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি