নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকা থেকে রোববার সকালে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে লালপুর থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর সঠিক কারন, তবে প্রাথমিক আলামতে তাদের খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হচ্ছে। মৃত স্বামী-স্ত্রীরা হলেন উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ধলা গ্রামের সোবাহান প্রামানিক (৭৫) ও তার স্ত্রী মানিকজান (৬৮)। জানা যায়, লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামের সোবহান প্রামানিক ও তার স্ত্রী মানিকজান শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে হঠাৎ দু’জনে বমি করতে শুরু করলে সন্তানরা তাদের মেডিকেলে নেয়ার চেষ্টাকালে সোবহান বাড়িতে ও পথিমধ্যে মানিকজানের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মৃতদের ছেলে নওশাদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় মা-বাবা রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ রাত ১০ টার দিকে চিৎকার শুনে এসে দেখি দুজনেই বমি করছে। বাবা বাড়িতেই মারা যান, মাকে মেডিকেলে নেবার পথে পথিমধ্যে মারা যায়। মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে জানান, সঠিক বলতে পারবো না। তবে বমি ও গন্ধে মনে হচ্ছে তাদের খাবারে কোন সমস্যা ছিলো। তবে স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনে তাদের মৃত্যু হয়েছে, আর এ কাজের জন্য তাদের পুত্রবধূ দায়ী। লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ জানান, মৃতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মৃতদের ছেলে নওশাদ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
১৭ডিসেম্বর,২০১৭,রবিবারক্রাইমর্বাতাডটকম/প্রতিনিধি/আসাবি